চরফ্যাশন প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন শহরসহ পুরো গ্রামবাসীর মধ্যে শিশুবাচ্চাদের কল্লাকাটার অতংকে রাত জেগে পাহাড়া দেয়ার মতো ঘটনায় ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শহর গ্রামগঞ্জের পাড়া মহল্লা থেকে এমন সংবাদ আসে গল্লাকাটা ও পোলাচোর নামছে।
বেশ কয়েকটি স্থান থেকে কল্লাকেট ও শিশুদেরকে নিয়ে যাওয়ার ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। অংতকিত হয়েছে পুরো চরফ্যাশন উপজেলায়। আহম্মদপুর ইউপির ফরিদাবাদ গ্রামের নুরুল ইসলাম জানান, চরফ্যাশন কলমীতে ১০জনের কল্লাকেটে নিয়ে গেছে। তিনি তার সন্তানদেরকে মোবাইল ফোনে নাতি এবং নাতনীদেরকে সর্তক রাখার পরামর্শ দেন।
ছেলেরা জানতে চাইলে প্রতি উত্তরে বলেন, আমাকে মোবাইল ফোনে কলমী থেকে জানিয়েছে। পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড বাসিন্দা পিয়ারা বেগম(বেল্লারের মা) বলেন, চৌমহনী থেকে একমেয়ে কল্লাকেটে নিয়ে গেছে শুনেছি। আসলামপুর আবুগঞ্জ বাজার এলাকায় এমন সংবাদে পুরো রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছে গ্রামবাসী।
পৌর সভার ৫নং ওয়ার্ড সাজু বলেন, জনৈক ব্রীজে নাকি শিশূবাচ্চাদের কল্লা লাগবে এজন্য কল্লাচোর নামছে। এমন সংবাদ শুনতে না শুনতে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় চোর ঢুকে আসলামপুর বাজার সংলগ্ন সিকদার বাড়িতে। কুকুরে ডাক(খেওয়ানি) এবং সিকদার বাড়ির আলমগীর সিকদার জানালার ফাঁকদিয়ে চোর দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে পুরো গ্রামের মানুষ লাঠিচোঠা নিয়ে চতুর পাশ ঘিরে পেলে তাৎক্ষন চোর পালিতে যেতে স্বক্ষম হয়েছে।
শুধু এদিক সেদিক থেকে চোর চোর বলে পুরোরাত মানুষ জেগে নিজেরাও অতংকে থেকে পাহাড়া দিতে হচ্ছে। সিলেট থেকে চরফ্যাশন উপজেলা জনৈক আত্মীয়কে মোবাইল ফোনে কলদিয়ে বলেন আপনাদের বাড়িরকার যেন কল্লাকেটে নিয়ে গেছে নাকি। উত্তরে বললেন মিথ্যা। নীলকমল এলাকার সাজু বিবি সিকদার বাড়ি(বেইবাড়িতে) বেড়াতে এসে বলেন, মেয়ে শিশুদের কল্লা নেয় না। ছেলে শিশুদের কল্লাকেটে নিয়ে যায়। যার জন্য আমি আমার নাতীকে সেফ করতে ছুটে এসেছি।
কল্লাকাটা ঘটনাটি এমনভাবে ছড়াচ্ছে যেন পুরোগামী বাসী অতংকের মধ্যে রাত কাটাচ্ছে। এব্যাপারে চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)সামসূল আরেফীন বলেন, শুক্রবার রাতে আমাকেও একটি গ্রাম থেকে কল্লাকাটার সংবাদ জানিয়েছে। এমন সংবাদের কোন অস্থিস্ত নেই। আমরা তদারকি করেছি। আসলে এটা একটা গুজব(রিউমার) ছড়ানো হচ্ছে একটি মহল এই গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তারপরও আমরা বিষয়টি ক্ষতি দেখছি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply