এইচ আর হীরা :: রাত তখন দেড়টা। কারোর হাতে ঝাড়ু, কারোর হাতে কোদাল, আবার কেউ কেউ মটর দিয়ে পানি উঠিয়ে পাইপের মাধ্যমে রাস্তায় দিচ্ছেন। তারা কেউ বিসিসির পরিচ্ছন্নতা কর্মী না। তবুও তারা গভীর রাতে নিঃস্বার্থে রাস্তার কাদামাটি পরিষ্কার করতে কাজ করছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের থেকে জানাযায়, নগরীর চৌমাথা এলাকার সাগরদী খাল খনন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
আর খাল খননের পর কাদামাটি একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা না করে খাল খননের মাটি নবগ্রাম রোডের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের কাছে বিক্রি করছে। এতে করে খননের পর কাদামাটি বোঝাই ট্রাক চৌমাথা এলাকা থেকে নবগ্রাম রোডে যাতায়াত করলে পুরো নবগ্রাম রোড কাদায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। চৌমাথা এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বহুবার নিষেধ করা সত্বেও কোনো কর্ণপাত করেনি তারা।
চৌমাথা এলাকার ব্যবসায়ী হাসান জানান, খালের কাদামাটি নেয়ার ফলে রৌদ্রে শুকিয়ে ধুলা তৈরী হয় আবার সামান্ন বৃষ্টিতে কাদায় পিচ্ছিল হয়ে যায়। যার ফলে সবদিক থেকেই সমস্যার মধ্যে রয়েছি। সোহেল নামে এক দোকানী বলেন,বরিশালের ঠিকাদার মাহফুজ খানের লোকজন খালের মাটি কেটে এলাকার মানুষের কাছে বিক্রি করায় এই রাস্তা দিয়ে দিনের বেলায় ট্রাক ভরে ভরে নিয়ে যায়।
এতে এই রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে যায়।তাদের যন্ত্রণায় আমরা অতিস্ট। তিনি আরও বলেন, পাশেই একটা প্রাইমারী স্কুল, ছোট ছোট বাচ্চারা প্রতিদিন এই স্কুলে আসে। রাস্তার ধুলাবালি আএর কাদায় ওদেরও অনেক সমস্যা হয়। একারণেই আমরা স্থানীয় ব্যবসায়ীরা একত্রীত হয়ে রাস্তাটি পানি দিয়ে ধুয়ে কাদামাটি সরানোর চেষ্টা করছি। সেন্টু নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, বার বার বলা সত্বেও তারা আমাদের কোনো কথা শোনেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তা ধুতে বাধ্য হলাম। কিন্তু আবারও যদি এই রাস্তাটি দিয়ে ট্রাকভর্তি কাদামাটি নিয়ে যায় তাহলে আমাদের এই কস্ট বেফলে যাবে।
তাই আমরা মেয়র মহোদয় এর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, যাতে করে এই রাস্তা দিয়ে ভবিষ্যতে কোনো কাদামাটির ট্রাক যাতায়াত না করে। এব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা কেউ এব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি।
এবিষয়ে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,খাল খননের পরে নগরী থেকে দূরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে মাটি ফেলবে। কিন্তু কোনো ভাবেই বিসিসির বাসিন্দাদের ভোগান্তি হয় এমন কিছু করতে পারবেনা। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ বিন ওলিদ বলেন, অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পেলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply