খবর বরিশাল ডেস্কঃ বরিশালে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদ করায় হামলা সহ হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন এক নির্মাণ শ্রমিক। বুধবার বিকেল ৪টায় বরিশাল প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সহযোগিতা কামনা করেন নির্মাণ শ্রমিক রফিকুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২৬নং ওয়ার্ড হরিনাফুলিয়া এলাকায় আমাদের ক্রয়সূত্রে মালিকানাধিন জমি একটি অংশ জোড়পূর্বক দখলের পায়তারা চালিয়ে আসছে স্থানীয় মৃত: রসুল আলীর ছেলে আজিজ, ফজলে আলীর ছেলে জসিম ও শাহজাহান আলীর ছেলে রুবেল, ফজু হাং এর ছেলে রুমান, সামচু হাং এর ছেলে রিপন ও সজিব সহ কয়েজন ব্যক্তি। যারা ওই এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত।
গত ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে উক্ত জমি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতিতে হরিনাফুলিয়া এলাকায় শালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আমরা শতভাগ সঠিক থাকায় শালিসগণ আমাদের আস্বস্ত করেন যে আমরাই এই জমির প্রকৃত মালিক এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানেই উত্তেজিত হয়ে শালিসি প্রত্যাখান করে উত্তেজিত হয়ে উঠেন তারা। পরে আমরা আমাদের বাসায় চলে আসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে সন্ধ্যা অনুমানিক পৌনে ৬টায় দখল চেষ্টাকারীরা ৫/৬ জন ব্যক্তিদের নিয়ে নতুন হাট বাজারে আমার ছেলে রাজিবের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তারা লাঠিসোটা, হাতুড়ি, জিআই পাইপ দিয়ে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে। পিতার সামনে ছেলেকে নির্মমভাবে মারধর করায় আমি সহ স্থানীয় কয়েজন এগিয়ে আসলে তারা আমাদের উপরও হামলা চালায়। এসময় আমার পরিবারের নারী সদস্যদেরও আহত এবং শ্লিলতাহানী করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় কোন মামলা করিলে তারা আমাকে ভবিষ্যতে খুন জখম করার হুমকি প্রদান করে। এমনকি এ হামলার ঘটনার পরে আমি যখন সোনামিয়ার পুল থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেই তখন তারা আমার পথরোধ করে আমাকে আমাকে এলোপাথারিভাবে মারধর করেন। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে যখম করেন। পরে অটো চালক আমাকে অচেতন অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নির্মাণ শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমার ছেলে বাদি হয়ে জসিম, আজিজসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি টের পেয়ে বিষয়টি অন্যখাতে নেয়ার জন্য আমাদের নামে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালানোর পাশাপাশি আমাদের নানাভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে। তাই আমি, আমার ছেলে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
দখল চেষ্টাকারীরা দীর্ঘদিন ধরেই এভাবে হয়রানি করে আসছে জানিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি আমার সারাজীবনের কষ্টার্জিত অর্থ এবং ধার-দেনা করে উক্ত ৭শতাংশ জমিটি ক্রয় করেছিলাম, যেটিই আমার একমাত্র সম্বল। বর্তমানে এসব ঘটনার পরে আমার পুরো পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছি। তাই আমি সেনাবাহিনী সহ প্রশাসনের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি যাতে আমি এসমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সাধারণভাবে জীবনযাপন করতে পারি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply