খবর বরিশাল ডেস্কঃ বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাত নেতার বিরুদ্ধে রংশ্রী ইউনিয়নের নন্দপাড়া গ্রামের মৃত চেরাগ আলী হাওলাদারের পুত্র মো: শাহ আলম গত ১৯ অক্টোবর বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিরা হলেন, রংশ্রী ইউনিয়নের আজিজ হাওলাদারের পুত্র মো: কাইয়ুম হাওলাদার। নন্দপাড়া গ্রামের মৃত হাকিম হাওলাদারের পুত্র আওয়ামী লীগ নেতা মো: চুন্নু হাওলাদার, মো: সাহান হাওলাদার, নন্দপাড়া গ্রামের মৃত মান্নান হাওলাদারের পুত্র মো: খবির হাওলাদার। উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: কালাম খান, পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মৃত কাদার হাওলাদারের পুত্র মো: সিদ্দিকুর রহমান, গারুড়িয়া ইউনিয়নের মো: মোশারফ হাওলাদারের পুত্র মো: শিপন হাওলাদার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রংশ্রী ইউনিয়নের নন্দপাড়া গ্রামের মৃত চেরাগ আলী হাওলাদারের পুত্র মো: শাহআলম একজন গরু ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় আসামিরা বিভিন্ন সময়ে গরু ব্যবসায়ী শাহ আলম হাওলাদারের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। আসামিরা তাদের দাবিগৃত চাঁদা না পেয়ে শাহ আলমকে বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে আসে।
চলতি বছরের মে মাসের ১৯ তারিখ গরু ব্যবসায়ি শাহ আলম বোয়ালিয়া বাজারে গরু বিক্রয় করে বাড়িতে যাওয়ার পথে নন্দপাড়া গ্রামের শাহজাহান তালুকদারের বাড়ির পশ্চিম পাশে ইটের পোল নামের স্থানে পৌঁছলে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় আসামিরা গরুর ব্যবসায়ী শাহ আলমের উপর হামলা চালায়।
হামলার একপর্যায়ে আসামি খবির হাওলাদার, কালাম খান, সিদ্দিকুর রহমান, শিপন শাহ আলমকে ধরে রাখে তখন কাইয়ুম,চুন্নু,সাহান হাওলাদার শাহআলমের সাথে থাকা গরু বিক্রির ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা বাবদ জোর পূর্বক নিয়ে যায়। চাঁদাবাজি এই মামলায় আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যাহার মামলা নম্বর ৩০। তবে এই ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ।এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, থানা মামলা হওয়ার খবর পেয়ে আসামিরা আত্মগোপনে রয়েছে। আসামি গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply