নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা দিয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে একজন শিক্ষক। আর এই শিক্ষকই যখন ছাত্রীদের যৌন হয়রানী করে তাহলে বিষয়টি কোন দিকে গড়ায় তা ভাবনার বিষয়। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঔ ইউয়নের দূর্গাসাগর সংলগ্ন মাধবপাশা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাকিল হোসেন। স্কুলের শিক্ষক হয়েও তার স্কুলের সামনে শুরু করেছেন রমরমা কোচিং বানিজ্য। পরীক্ষার ফেল করানোর ভয়ভীতি দেখিয়ে শাকিল শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে তার কোচিং এ পড়ার জন্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা অনেকে শাকিল স্যারের কোচিংএ প্রথমে পড়ার জন্য ইচ্ছা ছিলাম না, কিন্তু আমাদের পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে তিনি কোচিংএ ভর্তি করিয়েছেন। শুধু ভর্তিই নয়, কোচিংএ অনেক বেশি টাকা নেয়া হয়।
‘ শুধু কোচিং বানিজ্য করেই খ্যান্ত হয়নি শাকিল। শাকিলের এই কোচিং বানিজ্য নিয়ে সরেজমিনে বিস্তারিত জানতে গিয়ে যেন কেচো খুড়তে সাপ বেড়িয়ে এলো! ধুরন্দার শাকিল বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে তার ছাত্রীদের আপত্তিকর স্থানে হাত দেয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে শিক্ষার্থীর প্রতি শাকিলের কুনজর পরে তাকেই নানাভাবে বিরক্ত করেন সে। আর তার এই নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে মান-সম্মানের ভয়ে মুখ খুলেনা কোন ছাত্রীরা। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ছাত্রী বলেন, ‘চলিত বছর ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী রেশমাকে (ছদ্দনাম) জোড়পূর্বক চুম্বন করে সুচতুর শাকিল। কোচিং ছুটির পরে রেশমাকে (ছদ্দনাম) রুমে আটকে রেখে সে এরকম অপকর্ম করে। এ বিষয়টি স্কুলে তোলপাড় হয়েছিলো, আর আমাদের প্রধান শিক্ষক বিষয়টির কোন ব্যবস্থা নেয় নি। কিন্তু লজ্জার বিষয়ে ঐ ছাত্রীর অভিভাবক আইনি কোন ব্যবস্থা নেয় নি।’ আরেক ছাত্রী বলনে, ‘আমরা বাধ্য হয়ে ওনার মতো মানুষের কাছে কোচিং করি। উনি কোচিং চলাকালীন সময়ে যে জঘণ্য ভাষা ব্যবহার করেন তা আপনারা শুনলে হতভাগ হয়ে যাবেন। আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা এইরকম একজন মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।
’ শুধু রেশমাই (ছদ্দনাম) ঐ বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীদের যৌন হয়রানীরও অভিযোগ পাওয়া যায় সুচতুর শাকিলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিল বলেন, ‘আমি এসব মজা করে করি, আমার ব্যবহার যদি ছাত্রীদের খারাপ লাগে তাহলে তারা পড়–ক না আমার কাছে, এতে আমার কিছু আসে যায় না। এরকম অনেক ছাত্রী পেয়ে যাবো। আর আমি কোন কোচিং করাই না, ব্যক্তিগত ভাবে প্রাইভেট পড়াই।’এদিকে সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য এই প্রতিবেদককে বড় অংঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন সুচতুর শাকিল। প্রিয় পাঠক দৈনিক আজকের তালাশ অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে পাঠকদের কাছে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরেন। সুচতুর শাকিলের বিরুদ্ধে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দেখতে চোখ রাখুন পত্রিকার পাতায়।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply