সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:১৯

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

নিজেদের রক্ষায় মাঠে নেমেছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষ

dynamic-sidebar

অতিথি প্রতিবেদক : আজ বরিশালের স্থানীয় পত্রিকা সহ একটি বেসরকারি চ্যানেল এবং বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায়
বরিশাল শেবাচিমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধারা শিরনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় ।সংবাদ প্রকাশের পর শেবাচিমের পরিচালক সহ কর্তৃপক্ষ নেমেছে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য।

আজ একটি মেইল দিয়ে পুরো সংবাদটিকে ভিন্নতা দেখিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে শেবাচিম হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা বা সাংবাদিক পরিচয় দিলে চিকিৎসা তো দূরের কথা খেতে হয় ঝাড়ি। কতিপয় কিছু সাংবাদিকরা শেবাচিম কর্তৃপক্ষ’র দালাল হিসেবে এই সংবাদ গুলো ভিন্নভাবে পরিবেশন করে ।

উল্লেখ্য যে,বরিশালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যেতে বসায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে মুক্তিযোদ্ধারা।শেবাচিম কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর গাফলতির কারনে ফেরত যাচ্ছে বরাদ্দকৃত এই অর্থ। অথচ শেষ বয়সে চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মরতে বসেছে অনেক মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, ফ্রি চিকিৎসার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ লোপাট করার লক্ষেই বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের। নতুবা এটি নিশ্চয়ই তাদের দায়েত্বে অবহেলা। মুক্তিযোদ্ধাদের দাবী, এমনিতেই বরাদ্দকৃত অর্থ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তার উপরে এ অর্থ ফেরত না নিয়ে যেন মন্ত্রনালয় তা আগামি অর্থ বছরের সাথে যোগ করে দেয়। অবশ্য শেবাচিম কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিপত্রনুযায়ী কমিটি গঠন করতে না পারায় বরাদ্দ খরচ করা সম্ভব হয় নি। কেন কমিটি গঠন করা যায় নি এমন প্রশ্মে শেবাচিম কর্তৃপক্ষ, বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং বিভাগীয় কমিশনার; দোষ চাপাচ্ছেন একে অন্যের উপর।

শেবাচিম সূত্রে জানাগেছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলার ন্যায় বরিশালেও মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্রী চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়। পরিপত্র অনুযায়ী চিকিৎসা সেবার মান ও ব্যায় যাচাই এর জন্য অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, মেডিকেল কলেজ হাসপতালের পরিচালক এবং উপ পরিচালক, সিটি করপোরেশন বা মেয়রের প্রতিনিধি, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল এর চেয়ারম্যানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এ জন্য ৫সদস্যের কমিটি গঠন করা বাঞ্চনীয়। যাতে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সভাপতি পদে এবং মেডিকেল কলেজের উপ পরিচালক সদস্য সচিবের দায়েত্ব পালন করার কথা। কিন্তু বছর শেষ হয়ে গেলেও অদ্যবদি কমিটি গঠন করতে পারেনি শেবাচিম কর্তৃপক্ষ।

ফলে বাজেট থাকা সত্ত্বেও কোন মুক্তিযোদ্ধাদেরকেই বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয় নি শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে। মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম ৯নম্বর সেক্টর (গেরিলা) বলেন, কমিটি না করার অজুহাতে এই অর্থ খরচ করা হয়নি। কিন্তু শেবাচিম কর্তৃপক্ষ চাইলে এই অর্থ খরচ করতে পারতেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় অনেক মুক্তিযোদ্ধারা শেবাচিমে চিকিৎসা নিচ্ছেন কিন্তু তা বিনামূল্যে নয়। কেবিন ভাড়া ঔষধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা সবই টাকা দিয়ে করাতে হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন চন্দ্র বিশ^াস বলেন, ৫লাখ টাকা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তারা বলেন, শুনেছি পরিপত্র অনুযায়ী আমাদের সব চিকিৎসা ফ্রী। এমনকি বাসা থেকে নিয়ে আসতে হলেও তার ব্যাবস্থাও করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোথায়। এ ধরনের কোন সুযোগ সুবিধা তো আমাদের দেয়া হয় না। মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে অনেক কিছু করার চেষ্টা করছেন।

আমাদের এক পা কবরে। অনেক মু্িক্তযোদ্ধা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারে না। এটা ভেবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে বরাদ্দ করেছেন তা নিয়ে গড়িমসি করার মানে কি। তিনি প্রধান মন্ত্রীর কাছে আবেদন করে বলেন, এই অর্থ ফেরত না নিয়ে বরং আগামী অর্থ বছরের সাথে যোগ করে দেয়া হক। এবং মুক্তিযোদ্ধাদের এই অর্থ নিয়ে অবহেলা করায় শেবাচিম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ারও অনুরোধ করেন তিনি। এ বিষয়ে শেবাচিম, পরিচালক ডা. মোঃ বাকির হোসেন ও মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে তারা দোষ চাপায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের উপর। তারা বলেন, এই টাকা খরচ করতে হলে পরিপত্রনুযায়ী কমিটি গঠন করে খরচ করতে হবে। কিন্তু বরিশাল সিটি করপোরেশনকে একাধিকবার চিছি দেয়া সত্ত্বেও তারা কোন প্রতিনিধি পাঠান নি।

যে কারনে টাকা খরচ করলে অডিট আপত্তি হতে পারে ভেবে ভয়ে টাকা খরচ করিনি। বিসিসিকে চিঠি দিয়েছেন যে তার প্রমান কি এমন প্রশ্মে কোন অনুলিপি দেখাতে পারে নি শেবাচিম কর্তৃপক্ষ। পরে এ বিষয়ে কথা হয় বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খায়রুলের সাথে। তিনি জানান, আমাদেও একজনের জন্য এটা থেমে থাকার কথা না। ৫সদস্যেও একজন না থাকলে টাকা ফেরত যাওয়ার কথা? পরে তিনি প্রতিবেদকের কাছ থেকে পরিপত্রটি রেখে দিয়ে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল, মোঃ জাকারিয়া বলেন, শেবাচিম কর্তৃপক্ষ হয়ত বিষয়টি বুঝতে ভূল করেছে। এখানে স্পষ্ট লেখা আছে আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা হিসেবে শেবাচিম পরিচালকেরই এই অর্থ খরচ করার কথা! তিনিও বিষয়টি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক বলেন, একটি টাকাও খরচ করেনি এটি কোন কথা! কমিটির অজুহাতে যদি খরচ না করে থাকে তবে এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট করার কথা বলেন মন্ত্রী।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net