আল-আমিন গাজী ॥ ধর্ষনের ২২ দিন পেরিয়ে গেলে ও ধর্ষন কারী কথিত মাওলানা হুমায়ন কবিরকে আটক করতে পারেনি কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ । এতে ওই এলাকার সাধারন বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে । নগরীর ১০নং ওয়ার্ডে কেডিসিতে কথিত মাওলানা কর্তৃক কিশোরী ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া যায় । অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কেডিসি রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীর স্থানীয় বাসিন্দা আঃ রশিদ মিস্ত্রীর জামাতা মাওলানা হুমায়ন কবিরের গ্রাসের শিকার একই কলোনীর বাসিন্দা আছমা বেগমের মেয়ে (ছদ্দনাম) রুপালী। বিশ্ব জাকের মঞ্জিল আটরশি ফরিদপুর দরবারের যুক্তিবাদি মাওলানা সাইন বোর্ড লাগিয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে রয়েছে হুমায়ন কবির। তবে এবিষয় কোতয়ালী মডেল থানায় ধর্ষিতার মা আছমা বেগম বাদী হয়ে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন (যাহার মামলা নং ৮৩)। উল্লেখ্য গত রমজান মাসে রুপালী আঃ রশিদ মিয়ার মেয়ে রিগানের ঘরে সেলাই মেশিনের কাজ করতে গেলে রুপালীর উপর শকুনি নজর পরে রিগানের স্বামী হুমায়ন কবিরের। গত ২/৩ মাস পূর্বে রিগানের বাসায় কাজ করতে করতে রাত হয়ে যায় । সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রুপালীকে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে নেশাগ্রস্ত করে হুমায়ন কবির বিছানায় নিয়ে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে । পরে সকালে উঠে রুপালী দেখে তার পাশে কবির মাওঃ শুয়ে আছে । তখন রুপালী কান্নাকাটি করলে তাকে মেরে ফেলার ও তার সাথে কবিরের শারীরিক মেলা মেশার ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে ছেড়ে দিবে বলে হুমকি দেয় হুমায়ন কবির । তবে স্থানীয়রা জানায় চাঞ্চল্যকর তথ্য, মাওঃ হুমায়ন কবিরের স্ত্রী রিগান শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য । রিগানের সাথে ৫/৬ মাস শারীরিক মেলামেশা করতে নিষেধ করে ডাক্তার। সে সুবাদে ভন্ড প্রতারক কর্থিত মাওঃ হুমায়ন কবির তার স্ত্রী রিগানকে বলে রুপালীকে আমি চাই । রুপালীকে শারীরিক মেলামেশা করতে তুমি বাধ্য করবে যদি না করো তা হলে তোমাকে আমি তালাক দিবো। কিন্তু স্বামীর কথা রাখতে রিগান রুপালিকে ভয় দেখিয়ে তাকে হুমায়ন কবিরের সাথে শারীরিক মেলামেশা করায় বাধ্য করে । এদিকে ২৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে প্রতিদিনের মত হুমায়ন কবিরের যৌন ক্ষুধার চাহিদা মিটাতে রুপালীকে তার বাসার ২য় তলায় নিয়ে গেলে রুপালীর মা আছমা শ
সহ স্থানীয় জনতা মিলে তাদের অ-সামাজিক কর্মকান্ডে হাতে নাতে আটক করে । পরে হুমায়ন কবিরকে বাচাঁতে তার স্ত্রী রিগান সাহায্য করে বলে জানায় স্থানীয়রা । তবে স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করতে চাইলে কোতয়ালী থানা পুলিশ খবর পেয়ে ধর্ষনের শিকার রুপালীকে থানায় নিয়ে যায়। তবে রুপালী জানায়, তার সাথে ভন্ড মাওঃ কবিরের শারীরিক মেলামেশার ভিডিও ইন্টানেটে ছড়িয়ে দিবে বলে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় শারীরিক মেলামেশা বাধ্য করে। অপর দিকে এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত ওই কলোনীর সাধারন বাসিন্দারা। স্থানীয়রা জানায়, ভন্ড কথিত মাওঃ হুমায়ন কবির ধর্ষন, চাদাঁবাজি সহ নানান অ-সামাজিক কাজে জড়িয়ে আছে। এবিষয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ভোরের অঙ্গীকারকে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আসামী হুমায়ন কবিরকে আটক করার জন্য । আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে । আসা করি খুব শিগ্রই আসামীকে আটক করতে পারবো। তবে অভিযুক্ত কথিত মাওঃ হুমায়ন কবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন কথিত মাওঃ হুমায়ন কবির ও তার স্ত্রী রিগানের বিরুদ্ধে যে প্রশাসন অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করেন ।