মুরাদ হাসান মুন্না ভোলা তজুমদ্দিন উপজেলা প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার ৪নং চাঁচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নানের বিরুদ্ধে জেলেদের বিজিএফের চাল বিতরনে অনিয়ম-দূরর্নীতির অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভোলা জেলার মেঘনা ও তেতুলিয়া ১৯০ কিলোমিটার নদীতে দুই মাস নিষেধ ৷
এই নিষেঙ্গা চলাকালে সরকারী ভাবে নিবন্ধিত প্রত্যেক ৪মাসে ৪০কেজি করে মোট ১৬০কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও গত (ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসে) ৮০কেজি চাল দেওয়ার কথা ৷ কীন্তু চাঁচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান জেলেদের দিয়েছে ২৫-৫০ কেজি করে চাল বাকী চালের নেই কোনো হরিচ এছাড়াও জেলেদের অভিযোগ ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে এমন তালিকায় জোর করে নেওয়া হয়েছে টিপসই ৷
এবং জেলেদের পরিবর্তে (তার আত্নিয়) অন্য পেশার মানুষের মাজে চাল বিতরন করেছে চেয়ারম্যান ফলে প্রকৃত জেলেরা হয়েছে চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত কীছুদিন আগে দেখা গেছে অনেক জেলা চাল নিতে এসে চাল না পেয়ে মনে ক্ষোভ নিয়ে ফিরে গেছেন ৪নং চাঁচড়া ইউনিয়নের ভিবিন্ন গ্রাম থেকে আসা জেলে নূর আলম,নজরুল,বাচ্ছু মাজি সহ আরো অনেকে দৈনিক খবর বরিশালকে জানান আমাদেরকে চেয়ারম্যান সাহেব ৩০ কেজি করে বালতি দিয়ে চাল মেপে দেন অথছ বাসায় এনে মিটারে মেপে দেখি ২৩-২৪ কেজি বাকী চাল দেয়ারম্যান রেখে দিয়েছে ৷ এতে আমরা জনপ্রতি ৫০-৫৫ কেজি করে চাল কম পেয়েছি ৷
অন্য দিকে জেলে কার্ড নিয়ে চাল নিতে এসে চাল না পাওয়া জেলেরা জানান, যারা কখনো জেলে পেশায় ছিলোনা বা নেই তাদেরকেও চাল দিয়েছে চেয়ারম্যান মেম্বার ৷ কীন্তু আমরা প্রকৃত জেলে হয়েও নদীতে অবরোধ অবং করোনার এই সংকটময় সময়ে আমাদের চাল দেয়নি চেয়ারম্যান ৷ তারা আরো বলেন সরকারের সকল নিষেধাঙ্গা মেনে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছি প্রকৃত জেলে এবং কার্ড থাকা সত্বেও আমরা চাল পাচ্ছি না ৷
জেলেরা আরো জানান,আমরা চাঁচড়া ইউনিয়নের জেলেরা ভোলা জেলা প্রশাসকের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ ও করেছি ৷ এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক খবর বরিশালকে জানান, ১৪-০৫-২০২০ইং তারিখে তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনা স্থলে গিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল কীন্তু অনিবার্য কারনে তদন্ত স্থগিত করা হয়েছে পরবর্তীতে তদন্তের তারিখ জানিয়ে দিবেন বলে তিনি জানিয়েছেন
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply