বরিশাল অফিস:-
বাবুগঞ্জে’র সন্ধা,সুগন্ধা আর আড়িয়াল খাঁ নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই বিলীন হয়েছে শত শত ঘরবাড়ি, আবাদি জমি, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, নিঃস্ব হয়েছে হাজারো পরিবার। প্রতিনিয়তই নিদ্রাহীন রজণী কাঁটে এ উপজেলা ভাঙ্গন কবলিত মানুষের। বিগত দিনে সরকারের নানা পদক্ষেপেও রোধ করা যাচ্ছে না নদী ভাঙ্গন।
এদিকে শুক্রবার রাতে আকস্মিক সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে অন্তত ৩ টি বসত ঘর সহ সহ আবাদি জমি। ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে দক্ষিন রাকুদিয়া গ্রামের আয়ুব আলী মাতুব্বর, মোর্শারফ মাতুব্বর, আবদুল মজিদ, আবুল বাশার হাওলাদার, মোঃ কালাম হাওলাদার, আমির আলী হাওলাদার এর বসত বাড়ি।
এছাড়াও ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি বসত ঘর, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু, রাশিদা মোর্শারফ একাডেমি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ সহ বেশ কয়েকটি সরকারী বে-সরকারী স্থপনা। কয়েকদিনের টানা বর্ষনে পানি বৃদ্ধির কারণে আকস্মিক নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এ ভাঙ্গনের ঘটনায় আতঙ্কিত এবং দিশেহারা হয়ে পড়েছে বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের দক্ষিন রাকুদিয়া গ্রামের শত শত পরিবার। ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয়ারও সময় পাচ্ছেনা অনেকে।
ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থরা। সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গনে দক্ষিণ রাকুদিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, গত শুক্রবার থেকে আকস্মিক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়,ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কোন কার্যকারি ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মুহূর্তে কয়েক মাইলের বাড়িঘর আবাদি জমি নদীতে ধসে পড়বে।
এদিকে শুক্রবার রাতে আকস্মিক ভাঙ্গনের খবর পেয়ে বাবুগঞ্জ-মুলাদী আসনের সাংসদ এ্যাড. শেখ মোঃ টিপু সুলতান, বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম খালেদ হোসেন স্বপন, ইউএনও দীপক কুমার রায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান আকস্মিক ভাঙ্গল কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সাংসদ টিপু বলেন ‘‘আমি আকস্মিক ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি, সুগন্ধা নদীর আকস্মিক ভাঙ্গনের ফলে ইতোমধ্যেই কয়েকটি বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। তবে দ্রুত ভাঙ্গনরোধ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply