শুক্রবার, ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:১৪

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

শেবাচিম হাসপাতালে রোগীর মাকে মারধর, পা ধরেও শেষ রক্ষা হলোনা!

dynamic-sidebar

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিশু রোগীর মাকে চুলের মুঠি ধরে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার চাঁদনী বেগম (২৭) সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার তিন বছরের বয়সের শিশুপুত্র আলিফ আনসারী হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

চাঁদনী বেগম অভিযোগ করে বলেন- ওই ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. শিবলি ও ডা. হাসান ভূঁইয়া ফয়সাল চুলের মুঠি ধরে তাকে মারধর করেছে। এ সময় শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. অসীম কুমার সাহা তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তিনি আরও বলেন- এসময় চিকিৎসকদের পা ধরে মাফ চাইলেও তাদের নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি তিনি।

শিশুটির নানা হারুন মোল্লা জানান, তার নাতি আলিফ আনসারীকে (৩) অসুস্থ অবস্থায় গত শুক্রবার রাতে শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রথমে তাকে প্রথমে শিশু সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় শিশু ওয়ার্ডের ডায়রিয়া বিভাগে। ডায়রিয়া ওয়ার্ড রোগী গ্রহন না করে আবার সার্জারী বিভাগে ফেরত পাঠায়। এভাবে ঘোরাঘুরিতে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালটি ‘পাগলা গারদ’ বলে মন্তব্য করেন। এসময় কয়েকজন চিকিৎসক আলিফের মা চাঁদনী বেগমকে মারধর করে। শিশু বিভাগের প্রধান ডা. অসীম কুমার সাহ সেখানে উপস্থিত থাকলেও তিনি চিকিৎসকদের পক্ষ নিয়ে চাঁদনী বেগমকে গালিগালাজ করেন।

তবে আলিফ আনসারীর মা চাঁদনী বেগমকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকীর হোসেন বলেন, ডায়রিয়া ওয়ার্ডের এক নার্সের ভুলের জন্য সেখানে রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ওই নার্স চিকিৎসকদের সঙ্গে পরমর্শ না করেই সার্জারী বিভাগ থেকে আসা রোগীকে আবার ওই ওয়ার্ডে ফেরত যেতে বলে।

তিনি জানান- বারবার ঘোরাঘুরিতে শিশুটির অভিভাকরা ক্ষুব্ধ নার্সদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ায়। এসময় চিকিৎসকরা সেখানে উপস্থিত হলে অভিভাবকরা ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. ফয়সালকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।

এ নিয়ে উত্তেজনার সৃস্টি হলে তিনি (পরিচালক) ঘটনাস্থলে গিয়ে সকলকে তার কক্ষে নিয়ে যান। অভিভাবকরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইলে বিরোধের সমাধান হয়।’

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net