বরিশাল অফিস:-
বৃহস্পতিবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা জায় ইলিশের সমারহো। বিএফডিসি ঘাটে সারিবদ্ধভাবে নোঙর করে আছে সাগর থেকে ফিরে আসা ইলিশ ভর্তি ট্রলার। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘাটে নোঙর করছে ট্রলারগুলো। সকালে ট্রলার থেকে ইলিশ নামানোর জন্য প্রস্তুত ঘাট শ্রমিক। চলছে ইলিশ টানার মিছিল।
কথা হয় কক্সবাজারের এফবি সাগর-২ ট্রলারের জেলে ট্রলার সকালেই ঘাটে নোঙর করেছে। সাতদিন সাগরে মাছ ধরেছেন। ২৫ লাখ টাকার মতো মাছ পেয়েছেন তার ট্রলারের জেলেরা। বেজায় খুশি তিনি।কথা হয়, সাগর থেকে ফিরে আসা বেশ কয়েকটি ট্রলারের জেলেদের সঙ্গে। তারা বলেন, সাগরে এখন প্রচুর ইলিশ। ইলিশ মৌসুম শুরু হওয়ার পর দেড় মাস মাছ শুন্য সাগর থাকলেও এখন প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে। তারা আরও জানান, এখনও সাগরে অনেক ট্রলার আছে, যাতে প্রচুর মাছ রয়েছে।চরদুয়ানী ইউনিয়নের আবু বকর মোল্লার মালিকানা এফবি লাকী ট্রলারে ১৮০ মণ ইলিশ মাছ পেয়েছেন। যা বিক্রি করেছেন ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা এ বছর এক ট্রলারে সর্বোচ্চ মূল্যে মাছ বিক্রি হলো।ট্রলারের মাঝি মো. বাবুল মিয়া বলেন, ৩০ বছর ধরে মাঝি হিসেবে সাগরে মাছ ধরি। এ বছরই এই প্রথম এক খেওয়ে সর্বোচ্চ মাছ পেয়েছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।
এদিকে চলতি বছরে ইলিশ মৌসুমের প্রায় ২ মাস পেরিয়ে গেলেও যখন মাছের দেখা মিলছে না তখন জেলে, ট্রলার মালিকসহ মৎস্য পেশার সঙ্গে জড়িত সবার মুখে ছিল শুধুই হতাশা। কিন্তু সেই হতাশা আর তাদের নেই। এখন গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে ধরা দিচ্ছে রুপালি ইলিশ। জেলে পল্লীতে বয়ে যাচ্ছে আনন্দের বন্যা। কিছুদিন আগে যাদের মুখে হাসি দেখা যায়নি এখন তাদের দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই। আর ক্রেতাদেরও নাগালের মধ্যে রয়েছে ইলিশের দাম।
বৃহস্পতিবার প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ১৪ হাজার টাকার মধ্যে, যা গত এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছিলো ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকায়।আড়তদার বাবুরাম বাংলানিউজকে বলেন, সাগর থেকে প্রতিটি ট্রলার ১৫ থেকে ২০ হাজার ইলিশ নিয়ে ঘাটে আসছে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply