নিজস্ব প্রতিবেদক ॥বরিশাল নগরীর অলিতে গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে মাদ্রাসা ও এতিমখানা । নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের যে কোনো ওয়ার্ড ঘুরলেই দেখা মিলবে সেই সকল মাদ্রাসার,কিন্তু এসব মাদ্রাসার নাম করে নগরীর বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলে চাদা আদায়ের জন্য বিভিন্ন হুজুর বেশে ছদ্ববেশি চাঁদাবাজদের। এ সকল ছদ্ববেশি চাঁদাবাজদের কারনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সেই সকল ব্যাক্তিদের যারা নিজের অর্থ সম্পদের কথা চিন্তা না করে অসহায় এতিম শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য নিজেদেরকে বিলিয়ে দেয়।
তেমনি এক দৃষ্টান্ত নজীর স্থাপন করেছেন নগরীর পলাশপুরের ৭নং গলিতে অবস্থিত রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফিজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোডিং এর মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মো:নুরুল ইসলাম ফিরোজী। বিগত চার বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত এই মাদরাসাটি নুরুল ইসলাম ফিরোজী নিজের উদ্যোগে গড়ে তুলেন এবং নিজ অর্থায়নে এতোবছর মাদরাসাটি পরিচালনা করার পরে দক্ষিন বাংলার অভিভাবক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ (এমপি) এর প্রদান কৃত অনুদানের টাকায় দ্রুত গতিতে মাদ্রাসা নির্মানের কাজ এগিয়ে চললেও বর্তমানে অর্থের অভাবে বরিশাল নগরীর ৫নং ওয়াড পলাশপুরের ৭নং গলিতে অবস্থিত রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফিজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোডিং এর নবনিরমিত ভবনের কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে মাদ্সাটির প্রতিষ্টাতা ও পরিচালক মো:নুরুল ইসলাম ফিরোজী। চার তলা ভিত সম্বলিত ভবনটির জন্য জমি ক্রয়,পিলার স্থাপন সহ সেফটি টেংকির কাজ উঠার সিড়ি সমাপ্তির পথে।
তবে সরকার প্রদত্ত টাকার সিংহ ভাগ ইতি মধ্যে জমি ক্রয় সহ সম্পন্ন হওয়া নিরমান কাজের পিছনেই ব্যায় হয়ে গেছে।এ কারনে নতুন করে শংকিত হয়ে পরেছে মাদ্রাসার কতৃপক্ষ। এতিম শিশুদের বসবাস উপযোগী করে গড়ে তুলতেও আরো অনেক অর্থের প্রয়োজন। আর এজন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের দানশীল ব্যাক্তিদের এগিয়ে আসা উচিত বলে অভিমত ব্যাক্ত করেছেন মাদ্রসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক নুরুল ইসলাম ফিরোজী। তিনি আরো বলেন এ মাদ্রাসায় প্রায় শতাধিক এতিম শিশু খুব কস্ট করে মোহাম্মদপুরে আমার’ই প্রতিষ্ঠিত মহিলা মাদ্রাসায় অবস্থান করছে।
অতি দূরত ছাত্রদের মূল মাদ্রাসায় হস্তান্তর করা দরকার। আর এজন্য মাদ্রসার ভবন নির্মাণ কাজ তারাতারি শেষ করা প্রয়োজন। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি আরো বলেন,মাদ্রাসাটির জমি ও ভবন নির্মানের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ (এমপি)। মনে করি ছিলাম এই টাকা দিয়েছে কাজ সম্পূর্ন হবে। কিন্তু ৪ তলা ফাউন্ডেশন নেওয়ায় এবং কি জমি ও নির্মাধীন ভবনের নিচে ফাউন্ডেশন নিতেই টাকা সব শেষ হয়ে গেছে। তাই কাজের মাঝ পথে পড়েছি টেনশনে। বাকি কাজ কিভাবে শেষ করবো তা জানিনা। সমাজের দানশীল ব্যাক্তিরা যদি মাদ্রাসাটির উন্নয়নের কাজের দিকে একটু এগিয়ে না আসে তাহলে মাঝ পথে কাজটি বন্ধ হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত ৪ বছর পূর্বেও কোনো সরকারি বেসরকারি অনুদান ছাড়াই অত্র মাদরাসা ও এতিমখানাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় শতাধিক এতিম শিশু মাদ্রসাটিতে বিনামুল্যে থাকা খাওয়ার পাশাপাশি দ্বীনি ইসলামি শিক্ষা গ্রহন করছে । এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে পত্র পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে পরে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি মহাদয়ের । এরপরে তিনি স্ব শরীরে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দল্লাহ,সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মোঃ ইউনুস সহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে মাদ্রাসাটি পরিদর্শন করেন। তিনি এসে এতিম শিশুদের দূরাবস্থা দেখে ব্যাথিত হন এবং তখনি জেলা পরিষদের মাধ্যমে ১৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এই অনুদান অপ্রতুল বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply