রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:৫৫

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
পটুয়াখালীতে জাটকা সংরক্ষণ আইন মানছেন না জেলেরা : অবাধে চলছে জাটকা নিধন

পটুয়াখালীতে জাটকা সংরক্ষণ আইন মানছেন না জেলেরা : অবাধে চলছে জাটকা নিধন

dynamic-sidebar

অনলাইন ডেস্ক :: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উপকূলীয় জেলেরা জাটকা সংরক্ষণ আইন মানছেন না। উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ছোট ফাঁসের কারেন্ট জাল ও খুঁচচি জাল বসিয়ে নির্বিঘ্নে চালানো হচ্ছে জাটকা নিধন যজ্ঞ। আর অবাধে জাটকা ইলিশ নিধনে উৎসাহ জোগাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল।

প্রতিবছর ১ নভেন্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় জলসীমানায় জাটকাসহ সকল ধরনের মাছ নিধনের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা মৎস্য অফিস, উপজেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। তবে জাটকা ইলিশ নিধন এভাবে অব্যাহত থাকলে আগামী মৌসুমে ইলিশের আকাল দেখা দিতে পারে বলে স্থানীয় জেলেরা জানান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব ইলিশ চাপিলা মাছ বলে বাজারে ও বাড়ি বাড়ি নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। চলছে খুঁচচি, বেহন্তি, মশারির মতো ছোট ফাঁসের জাল দিয়ে জাটকা নিধনের মহোৎসব।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কাজের সঙ্গে জড়িত এমন জেলেরা জানান, গলাচিপার রামনাবাদ, দাড়চিরা, বুড়াগৌরাঙ্গ, আগুনমুখা, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় নদীতে খুচচি জালসহ বিস্তর নিষিদ্ধ জাল বসানো হয়েছে। যাতে প্রতিদিন ধরা পড়ছে শত শত মণ জাটকা। তবে এ ব্যাপারে মৎস্য বিভাগের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এদের ম্যানেজ করেই এসব জাল ফেলা হচ্ছে। ধৃত জাটকা ট্রাক ও ট্রলার বোঝাই করে রাতের আঁধারে চালান হচ্ছে বরিশাল ও ঢাকার বিভিন্ন মোকামে । কখনো ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চেও জাটকা ভর্তি ঝুড়ি চালান করে দেয়া হচ্ছে।

কোস্টগার্ড সূত্র অবশ্য বলছে, তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কোস্ট ট্রাস্ট নামের একটি সংস্থার জরিপ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এ অঞ্চলে ১৪৩ প্রজাতির মাছের মধ্যে ইতিমধ্যে ৪৩ প্রজাতির মাছের বিলুপ্তি ঘটেছে। কারেন্ট জাল, মশারি জাল, খুঁচচি জাল ফেলার কারণেই মাছের প্রজাতি বিনষ্ট হচ্ছে। অন্য দিকে জাটকা ইলিশ ধরার ফলে মৌসুমে ইলিশের আকাল দেখা দিবে।

গলাচিপা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোজ্জাম্মেল হক জানান, জাটকা নিধন বন্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা শতভাগ কার্যকর করতে মৎস্য বিভাগ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net