বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:৫৬

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে কলেরার স্যালাইন টাকা দিয়ে কিনছে রোগীরা

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে কলেরার স্যালাইন টাকা দিয়ে কিনছে রোগীরা

dynamic-sidebar

অনলাইন ডেস্ক : ঝালকাঠিতে ডায়রিয়া মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে নারী শিশুসহ রোগীরা ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত কলেরা স্যালাইন ও ঔষধ সরবরাহ নেই। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বাইরে থেকে চড়া দামে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।

এদিকে রোগীর তুলনায় ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় মেঝে এবং বেঞ্চের ওপরে বসে স্যালাইন নিতে হচ্ছে। এছাড়াও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসক না থাকায় কর্মরত সেবিকাদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

গত ১৩ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল বেলা ১২ টা পর্যন্ত প্রায় ৩শ রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এখান থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। শনিবার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শেখেরহাট ইয়াতিম খানার ৪ শিশু ছাত্র চিকিৎসাধীন ছিল।

তাদের সঙ্গে থাকা ইয়াতিম খানার শিক্ষক মোর্শেদ আলম জানান, ‘গত ১৮ এপ্রিল এরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় এখানে নিয়ে আসি। কিন্তু এখান থেকে ১টি করে স্যালাইন দেওয়া হয়। তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় বাহির থেকে স্যালাইনসহ দেড় হাজার টাকার ঔষধ কিনতে হয়েছে।’ এই শিক্ষক আরো জানান, ‘ডায়রিয়া ওয়ার্ডের পরিবেশ দুর্গন্ধযুক্ত। এখানে এলে রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে।’

এছাড়া বাউকাঠি গ্রামের সুমা হাওলাদার তার ১০ মাসের শিশু সোনিয়া ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ায় এখানে নিয়ে আসেন। তিনি জানান, গত ১৮ এপ্রিল ভর্তির পর আজ পর্যন্ত কোন চিকিৎসক আসেননি। নার্সরাই সেবা করছে।’

শেখেরহাট গ্রামের রেজাউল কবির (২৭) ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার পর ৫৩০ টাকার স্যালাইন ও ওষুধ কিনে বেঞ্চে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছে। তার পার্শবর্তী মেঝেতে শুয়ে থাকা রোগী কাইয়ুম (২৮) জানান, ‘আমি ও আমার বোন নাজমুন্নাহার (২৫) গত শুক্রবার এখানে ভর্তি হওয়ার পর ১৩শ ৭৫ টাকার স্যালাইন ও ওষুধ কিনেছি।’

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে কলেরার স্যালাইন কিনে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা

এ প্রসঙ্গে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কর্মরত সেবিকা সমাপ্তি হালদার বলেন, ‘দুই মাস ধরে ডায়রিয়া মারত্মক আকার ধারণ করেছে। কিন্তু আমরা একজন রোগীকে ১টির বেশি কলেরা স্যালাইন দিতে পারছি না সরবরাহ পর্যাপ্ত না থাকায়। এই ওয়ার্ডে নির্ধারিত চিকিৎসক না থাকায় আমাদেরকে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার বলেন, ‘কলেরা স্যালাইনের কোন অভাব নেই। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও কেন বাহির থেকে রোগীদের কিনতে হচ্ছে বুঝতে পারছি না। বিষয়টি আমি দেখছি। ডায়রিয়া ওয়ার্ডের জন্য নির্ধারিত চিকিৎসক না থাকায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরাই এই দায়িত্ব পালন করছে।’

এছাড়া শয্যা না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি সাময়িক সমস্যা।’

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net