ফণীর তাণ্ডব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় এখনো খোলা আকাশের নিচে জীবন কাটছে অনেকের। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কেউ কেউ সরকারের সহযোগিতা চায়। এদিকে, তিনদিন পর বরিশাল, চট্টগ্রাম ও মোংলায় অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। স্বাভাবিক হয়েছে বন্দরের কার্যক্রমও।
বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রেখে চলে গেছে ঘুর্ণিঝড় ফণী। এ ক্ষত কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে দুর্গতরা। ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় বেড়িবাধ ভেঙে তলিয়ে গেছে ৫টি গ্রাম। ব্যাপক ক্ষতি হয় কাঁচা ঘরবাড়ি ও ফসলের। লক্ষ্মীপুরে ফণীর হানায় বাড়ি-ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে অনেকে। সরকারিভাবে পুর্নবাসনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ সুবিদখালী এলাকায় ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ ঘুরে দেখেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এসময় তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলোর সংস্কার শুরু হবে সোমবার থেকে। ত্রাণ দেয়া হয়েছে সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝেও। ফনিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকুলীয় গাবুরা ইউনিয়ন। সেখানকার অর্ধশত কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝুঁকিতে পড়েছে তিনটি ইউনিয়নের বেঁড়িবাধ।
অন্যদিকে, তিনদিন পর স্বাভাবিক হয়েছে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের কার্যক্রম। পুরোদমে চলছে পণ্য ওঠানামার কাজ। ভোর থেকে বরিশাল-ভোলা, বরিশাল-মেহেন্দীগঞ্জসহ ১২টি অভ্যন্তরীণ নৌপথেও নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply