তিনি বরিশাল নগরীর বেলতলা এলাকার বাসিন্দা ও ওই মাদ্রসার আরবী শিক্ষক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ওই এলাকার হেলাল এন্টারপ্রাইজ নামক ভবনের মাদ্রাসাটি থেকে শিশুছাত্রটি বেড়িয়ে সড়কের পাশে কাঁদতেছিল। তখন পথচারীরা জিজ্ঞেস করলে সে তাদের বলে পড়া পারেনি। তাই শিক্ষক (হুজুর) তাকে শাস্তির নামে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ডেকে নিয়ে বলাৎকারের চেষ্টা করেন।
ওই সময় কোন রকম দৌড়ে পালিয়ে মাদ্রাসার সামনে রাস্তায় নেমে এসে কান্না শুরু করে শিশুটি। পরবর্তীতে নূর নামে শিশুটির মুখ থেকে শিক্ষকের কান্ড শুনে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাদ্রাসাটি ভেতরে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। সেই সাথে শিশুটির অভিভাবকদের খবর দেয়। ফলশ্রুতিতে পরিস্থিতিতে বেগতিক দেখে মাদ্রাসার পরিচালক মনিরুল ইসলাম অভিযুক্ত শিক্ষক রাতুলকে পিটুনি দিয়ে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে শিশুটির পরিবারের স্বজনদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি চেপে যেতে বলায় তারাও এই ঘটনায় মুখ খুলছে না।
বরং শিশুটির নানা আব্দুল আজিজও এখন শিক্ষকের পক্ষ সাফাই গাইছেন। তাছাড়া শিশুটিকেও মিডিয়ার সম্মুখে না এনে বিষয়টি আরও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছেন পরিচালক। এক্ষেত্রে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, বিষয়টি শহরজুড়ে আলোড়িত হলেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অথচ পরিচালক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ছাত্রদের বলাৎকার, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালক ও শিক্ষকদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে অনেক শিক্ষার্থী পালিয়েও গেছে।
তাছাড়া মাস কয়েক পূর্বে এক এতিম শিশুকে বেত্রাঘাতের মাধ্যমে নির্মম ভাবে নির্যাতনের অভিযোগে মাদ্রাসার পরিচালক মনিরুল ইসলামকে আটকও করেছিলো কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এমতাবস্থায় পরিচালক সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, এমটি মহল তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র করে আসছে।
এবার শিশু বলৎকারের খোড়া অজুহাত তুলে তাদের হয়রানি করতে চাইছে। তবে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ মো. আওলাদ হোসেন মামুন জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। তাছাড়া কেউ কিছু বলেওনি। এখন শুনেছেন। খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন।’’
Leave a Reply