নিজস্ব প্রতিবেদক :: মাত্র কদিন বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। তাই প্রিয়জনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শুরু হয়েছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার যুদ্ধ। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে দক্ষিণাঞ্চলে ফিরছেন তারা।
বিশেষ করে ভ্রমণে আরামদায়ক বিধায় নদীপথেই লঞ্চে যাত্রীদের আগমন বেশি ঘটছে। তাই বিশেষ সার্ভিসের প্রথম যাত্রায় যাত্রী হয়ে বরিশালে পৌঁছেছে ১৮ হাজারের অধিক মানুষ। শুক্রবার (৩১ মে) ভোর রাত সাড়ে ৩টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি নৌযান সংস্থার রাত্রিকালীন ও দিবা সার্ভিসের মোট ১৪টি নৌযানে যাত্রী হয়ে বরিশালে পৌঁছান তারা।
তবে বিশেষ সার্ভিসের প্রথম যাত্রায় উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়নি। কিন্তু স্বাভাবিক দিনের তুলনায় যাত্রীদের চাপ এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ ও স্টিমারের সংখ্যা বেশি ছিল। আগামী ২ জুন থেকে যাত্রীদের চাপ বহুগুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বরিশাল নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ছুটির দিন। তাই বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছুটির দিনকে লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাজধানীর সদরঘাট থেকে শুরু হয় বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে লঞ্চ ও স্টিমারে বিশেষ সার্ভিস।
এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে সদরঘাট থেকে সরাসরি বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসে ৯টি লঞ্চ, যা স্বাভাবিক দিনের থেকে ৩টি বেশি। এর মধ্যে ভোর রাত সাড়ে ৩টায় প্রথম বরিশাল নদীবন্দরে পৌঁছায় এমভি সুরভী-৮, এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ ও এমভি মানামী।
এরপর একে একে বরিশাল নৌবন্দরে এসে পৌঁছায় পারাবত-১০ ও ১১, সুন্দরবন-১০, ফারহান-৮ এবং সবশেষে এসে পৌঁছায় সালমা শিপিং করপোরেশনের এমভি কীর্তনখোলা-২ ও ১০। প্রথম যাত্রায় ৯টি লঞ্চে গড়ে ২ হাজার করে যাত্রী এসেছে বলে দাবি লঞ্চ কর্তৃপক্ষের।
এদিকে ঈদের বিশেষ সার্ভিস শুরু হওয়ার সাথে সাথে বরিশাল নদীবন্দরে নিরাপত্তাব্যবস্থা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। ভোর রাতে লঞ্চ নৌবন্দরে পৌঁছাবার আগেই পন্টুনে এসে হাজির হন বরিশাল সদর নৌফায়ার স্টেশনের কর্মীরা।
বরিশাল নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. কবির হোসেন বলেন, শুক্রবার ভোরাত থেকে থেকে দুপুর পর্যন্ত সরাসরি বরিশাল এবং ভায়া রুট মিলিয়ে মোট ১৬টি রাত্রিকালীন ও দিবা সার্ভিসের জাহাজ এসেছে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply