রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:১৫

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
ঈদকে সামনে রেখে বরিশালে প্রবেশ করেছে ইয়াবার বড় চালান !

ঈদকে সামনে রেখে বরিশালে প্রবেশ করেছে ইয়াবার বড় চালান !

dynamic-sidebar

নিজস্ব প্রতিবেদক।। নতুন প্রজন্ম এখন ইয়াবায় উম্মাদ! ইয়াবা এমন একটি মাদক যা মানুষকে শুধু মৃত্যুর দিকেই ঠেলে দেয়না, মৃত্যুর আগে ইয়াবাসেবীকে পাগলে পরিণত করে। আর এখন সেই ভয়াবহ মরণ নেশা ইয়াবা এখন বরিশালের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সহজলভ্য হওয়ায় উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবসমাজ মাদকের মরণ নেশায় বুদ হয়ে এখন মাদকের বশ্যতা স্বীকার করেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা ক্ষমতাশীন দলের নেতা ও কিছু সংখ্যক অসাধু পুলিশ সদস্যর পশ্রয়ে দেদার এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গিরগিটীর যেমন রঙ পাল্টায় ঠিক তেমনি স্থান ও নিজেদের পাল্টে ফেলে এসকল মাদক ব্যবসায়ী।

বরিশাল নগরীতে অদৃশ হয়ে থাকে দুই মাদক সম্রাট এরা হচ্ছেন ফজলু ও সুমন। পুলিশের হাতে একাধিকবার আটক হওয়া ফজলু কোন ভাবেই থামছেন না তার এই মাদক ব্যবসা। দীর্ঘদিন যাবত নিজ এলাকা স্বরুপকাঠীতে মাদক ব্যবসা চালানোর পরে বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হতে হয়েছিল ফজলুকে। বিশ্বস্ত এক সূত্র জানায়, ফজলু স্বরূপকাঠির ইন্দ্রাহাট এলাকায় পৈতৃক ভিটা বাড়িতে বসবাস করা কালীন থেকেই মাদক ব্যবসার সাথে জরিয়ে পরেন। এরপর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান ফজলু। তার মাদক বাণিজ্য ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছিল গোটা স্বরূপকাঠি এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে। ফজলুর ইয়াবা চালান স্বরুপকাঠী থেকে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করার কাজ করত ফজলুর এলাকার একান্ত চারজন মাদক ব্যবসায়ী।

ফজলুর চার সহচর হলো, স্বরুপকাঠী এলাকার বিএনপির একজন সক্রিয় সদস্য সুমন ওরফে লম্বু সুমন,ইন্দ্রাহাটের আসিক,একই এলাকার যুবদলের নেতা লোকমান এবং বানারীপাড়ার বিটু দাস, এ চারজন ছাড়াও আরো কিছু খুচরা মাদক বিক্রেতাদের সাথেও তার সক্ষতা ছিল বলে জানাগেছে। সূত্র আরো জানায়, বেশ কয়েক বছর আগে র‍্যাবের মাদক বিরোধী অভিযানের লিস্টেট আসামী ছিল এই ফজলু। র‍্যাবের অভিযানের কথা জানতে পেরে ফজলু ও তার সহযোগীরা স্বরূপকাঠি এলাকা থেকে পালিয়ে যায় এবং কিছুদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকার পরে বরিশাল নগরীতে এসে পারি জমায়। প্রশাসনের থেকে আড়াল করতে ছদ্ববেশ ধারন করে ফজলু বর্তমানে নগরীর নবগ্রাম রোডে বসবাস করছে। তার মাদক ব্যাবসা পরিচালনা বরিশালে নিয়ন্ত্রণ করছে সুমনসহ আরো কয়েকজন ।

র‍্যাবের লিস্টেট আসামী হওয়াতে ফজলু ছদ্ববেশ ধারণ করে বর্তমানে দাড়ি রেখে পাঞ্জাবী পরে নগরীতে ফজলু মুন্সী নামে পরিচয় দিয়ে পেশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে। বরিশালের বেশ কয়েকটি এলাকা ফজলুর মাদক বাণিজ্যের জন্য নির্ধারিত রয়েছে আর সেই এলাকায় মরণ নেশা ইয়াবা সরবরাহ করে ফজলুর ছেলে মিরাজ ও লম্বু সুমন, বিশেষ করে চৌমাথা লেকের পাড়,জিয়া সড়ক,খান সড়ক,নয়াকান্দা এলাকা মিরাজের নিয়ন্ত্রণে। নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল,কাশিপুরের ফিসারী রোড, কাশিপুর শাহ পরান সড়কে লম্বু সুমনের মাধ্যমেই ইয়াবা বিক্রি করে থাকে।অন্য দিকে,মাদক মামলার জামিন পেয়ে ফজলু একটি অটো ক্রয় করে,আর অটো চালক ফজলু বানরীপাড়ার এলাকার সুমনের বড় ইয়াবার চালান অটোর মাধ্যমে নগরীতে প্রবেশ করান বলে জানা য়ায় ।

এদিকে সুমনের শশুর বাড়ি ২৭ নং ওয়ার্ড এলাকায় হওয়ায় সুমন খুব সহজেই আইন শৃংখলা বাহিনীর চোঁখে ধুলো দিয়ে ওই বাড়িতে লুকিয়ে থাকেন। ধুরন্দার সুমন এতটাই চতুর নিজেকে আড়াল করে বিভিন্ন সময়ে নিজ পরিচয় গোপন রেখে এসকল ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বরুপকাঠী এলাকার লম্বু সুুমন বরিশালে দাড়িয়ালা সুমন নামে পরিচিত লাভ করে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ফজলু কক্সবাজার থেকে একটি বড় ইয়াবা চালান এনেছে আর সেই ইয়াবা বরিশালসহ জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হবে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।এবারের ঈদে তাদের টার্গেট উঠটি বয়সের শিক্ষার্থীদের।

কিছু কিছু শিক্ষার্থীদের অতি সহজে অর্থ উপার্জনের লোভ দেখিয়ে তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবার ছোট চালান বিক্রি করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়,এবারের চালানটি বড় হওয়াতে সুমন তার স্ত্রী লিমাকেও এই ব্যবসায় জরিয়ে ফেলে। সুমনের স্ত্রী লিমার মাধ্যমে নগরীর বড় বড় নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ফজলু ও সুমন যদি এবারের ঈদে তাদের চালানটি ছেড়ে দিতে সক্ষম হয় তাহলে নগরীর যুব সমাজের উপর ব্যাপক প্রবাভ পরার সম্ভাবনা রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে অন্ধকার পথ ছেড়ে আলোর পথে আসার জন্য যারা ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম’র কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন,ফের তাদের মাদক ব্যবসা করার জন্য প্রস্তাবও রেখেছে বলে সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। যদিও তারা সুমনের এমন প্রস্তাবের কর্ণপাত করেনি,তবুও তাদের হুমকি স্বরূপ বলা হয়েছে, তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে ফাসিয়ে দিবেন। বানারীপাড়ার রাজু হাওলাদার ও শামীম মৃধা বলেন, আমরা মাদক বিক্রি করবো না এবং সেবন করবো না এমন ভাবে শপথ গ্রহন করেছি।

বরিশাল থেকে ফজলু নামে এক ব্যাক্তি সরুপকাঠীর সুমনের সাথে মাদক ক্রয় বিক্রিয় করে আসছে ,আমরা এর প্রতিবাদ করতে পারছি না বরং আমাদের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে সুমন ও ফজলু। এবিষয়ে সুমনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ভাইযান আমি কখনো মাদকের সাথে ছিলাম না ,আপনাদের আমার বিরুদ্ধে কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়েছে, আশা করি আপনারা সত্যটুকু তুলে ধরবেন। ফজলুলের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, আমি একসময়ে ছিলাম এখন আর নেই । বর্তমানে আমি অটো চালাই ,আপনি খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র নাসির উদ্দিন মল্লিক জানান,মাদকের বিরুদ্ধে আমরা বরাবরই জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে আসছি, মাদক নির্মূলে আমাদের অভিযান সবসময় অব্যাহত থাকবে। আপনাদের কাছে যদি কোনো মাদক ব্যবসায়ীর তথ্য প্রমাণ থাকে তাহলে আমাদেরকে জানান, আমার এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net