স্বপন কুমার ঢালী ॥ বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের গার্ডার ব্রীজ নির্মানের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুনার পরির্বতে পাটের সুতা দিয়ে রডগুলো বাধাঁনো এবং রড ও সিমেন্টের অনুপাত কাজের সিডিউল অনুসারে না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সিডিউল মোতাবেক কাজ না করার ফলে ব্রীজ ভেংগে বড় ধরণের র্দূঘটনা ঘটার আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট জনগেনের।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রনালয়ের অধীনে উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের বেড়েরধন নদী সংলগ্ন ৩নং ওয়ার্ডে ছোট খালের ওপর ১টি ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয় । ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ব্রীজের কাজ পায় ‘বরিশালের মেসার্স মায়ের দোয়া কনস্ট্রাকসন’ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এদের কাছ থেকে বরগুনার ‘ মের্সাস জোমাদ্দার কনস্ট্রাকসন’ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি সাব ঠিকাদার হিসেবে কিনে এনে কাজ শুরু করে। বর্তমানে ষ্ট্যান্ডিংয়ের রড বাধাঁইয়ের কাজে লোহার গুনার পরিবর্তে পাটের সুতা দিয়ে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি পত্রিকায় নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন,সিডিউল অনুসারে আনুপাতিক হারে রড ও সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে না এবং মরিচা ধরেছে এমন লোহা ব্যবহার করা হচ্ছে।’
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. ফুয়াদ হোসেন বলেন,‘ পাটের সুতা একদম মজবুত কম না। তাছাড়া মোটা রড তো গুনা দিয়ে বাধঁতে সমস্যা তাই রড সোজা করার জন্য সিুতা দিয়ে বাধাঁনো হয়েছে। তবে আমরা পরিবর্তন করতে চেষ্টা করবো।’ এবিষয় বরগুনা জেলার এলজিডিই’র সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন,‘ সঠিক অনুপাতে রড ও সিমেন্ট প্রয়োগ করছেন এবং ঢালাইয়ের সময়ে আমার অফিসের লোকজন তদারকি করছেন। তবে গুরুতর অনিয়ম হলে লিখিত অভিযোগ পেলে যথারীতি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিব আহসান বলেন,‘ আমি সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী’র সাথে কথা বলে অনিয়ম হলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।’
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply