নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সারাদেশের ন্যায় বরিশালেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে থাকায় শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকে বরিশাল নদী বন্দর হয়ে মেহেন্দিগঞ্জ, ভোলা, বরগুনা, লক্ষীপুরসহ অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লার বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।
অনেকেই বাড়ি ফিরে গেলেও জরুরী প্রয়োজন রয়েছে যাদের তারা বিকল্প নৌযান অর্থা’ ট্রলার ও স্পীড বোটে করে জীবনের ঝুকি নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন। তবে বিপাকে আছে রোগীসহ বয়োবৃদ্ধরা।
বরিশাল নদী বন্দর সংলগ্ন স্পীড বোট সমিতির লাইন সুপারভাইজার তারেক শাহ জানিয়েছেন, নৌ ধর্মঘটের কারনে অতিমাত্রায় বরিশাল-ভোলা রুটের যাত্রীদের চাপ বেড়েছে স্পীড বোট ঘাটে। তাই অল্প সময়ের মধ্যেই এক একটি বোট ছাড়তে হচ্ছে।
তবে সকল যাত্রীকে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে নেয়া হচ্ছে এবং নির্ধারিত ভাড়ায়ই যাত্রীদের গন্তব্যে পৌছে দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এদিকে স্থানীয়রা জানান, বরিশালের সাথে সরাসরি যেসব উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ নেই সেসব এলাকার সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
যদিও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন স্থান, বিশেষ করে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বহু ট্রলার কীর্তনখোলা নদীর ডিসি ঘাট সংলগ্ন তীরে যাত্রী নিয়ে এসে নামিয়ে দিচ্ছে। আবার বরিশাল থেকেও বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। হিজলা থেকে আসা ট্রলার মাঝি আশরাফুল জানান, তিনি ৪০ জন যাত্রী নিয়ে বরিশালে এসেছেন এবং এরকম অনেক ট্রলারে যাত্রীরা আসছেন।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার জানিয়েছেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার কারনে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পরেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। তারা অনেকেই ভোগান্তির মধ্য থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। পরীক্ষা শেষে আবার একই ভাবে ফিরেছে।
প্রসঙ্গত, মালিকদের কাছে ১১ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে এ বছরের মধ্যে তৃতীয়বার ধর্মঘটের ডাক দেয় শ্রমিক ফেডারেশন। তারই অংশ হিসেবে শুক্রবার রাত থেকে কর্ম বিরতি শুরু করে শ্রমিকরা। যে কর্মবিরতির কারনে বরিশাল নদী বন্দর ও ঝালকাঠি লঞ্চঘাটের পল্টুন থেকে লঞ্চগুলো সরিয়ে মাঝ নদীতে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply