প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে জোরপূর্বক এক মাসের ছুটি দিয়ে সরকার গোটা বিচার ব্যবস্থাকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
শনিবার (০৭ অক্টোবর) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, বিচার ব্যবস্থাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রথম ধাপ হলো প্রধান বিচারপতিকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া। এখন নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগের মধ্যে আর কোনো পার্থক্য নেই। সব বিভাগের উপরই একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলো শেখ হাসিনার। মানুষের বিচার প্রার্থনার শেষ আশ্রয় স্থলটুকু আর থাকলো না। এর ফলে আগামী দিনের সকল রায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই নিয়ন্ত্রণ হবে বলে জনমনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ প্রধান বিচারপতিকে হুমকি দিয়ে ছুটি নিতে বাধ্য করা অথবা ছুটির নামে জালিয়াতি করা হয়েছে সেটি নজীরবিহীন। যেভাবে তাকে নাজেহাল করা হয়েছে, যেভাবে বিচার বিভাগের সম্মান, মর্যাদা ও ভাবমূর্তি নস্যাৎ হয়েছে তাতে বিচারবিভাগের সম্মান ও ভাবমূর্তি বলে কিছু অবশিষ্ট রইলো না।
তিনি বলেন, এই সরকারের দু:সহ দৌরাত্মের বিরুদ্ধে সকলে মিলে সোচ্চার না হলে ভবিষ্যতে বিরোধী দল, মত ও বিশ্বাসের লোকদেরসহ ন্যায় বিচার পাওয়ার আরা কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না। সরকারের নিষ্ঠুর প্রতিহিংসার শিকার হবে সরকারবিরোধীরা। দেশকে স্থায়ী দু:শাসনের বজ্রআটুনিতে বেঁধে ফেলা হলো। বিচার বিভাগের ওপর আরো নগ্ন হস্তক্ষেপ করে ন্যায় বিচারের পথকে চিরতরে রুদ্ধ করে দেওয়া হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এই ঘটনায় গোটা বিচার ব্যবস্থাকেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেওয়া হলো।
রিজভী বলেন, একজন সুস্থ ব্যক্তিকে অসুস্থ বানিয়ে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ইতিহাস আওয়ামী লীগের অনেক পুরনো। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইলের শামসুল হককে পাগল বানানো হয়েছিলো। এরপর আওয়ামী লীগের কতো নেতাকেই অসুস্থ বানিয়ে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান প্রধান বিচারপতিকেও তারা আওয়ামী স্টাইলে
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply