সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:০৭

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
ঝাঁজ বেড়েছে কাঁচামরিচের ৩০ টাকার কাঁচামরিচ ২০০ টাকা

ঝাঁজ বেড়েছে কাঁচামরিচের ৩০ টাকার কাঁচামরিচ ২০০ টাকা

dynamic-sidebar

অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ করেই রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানেই কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে চারগুণ। এমনকি কোনো কোনো বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা ছুঁয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে কাঁচামরিচের দাম এমন অস্বাভাবিক বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে মরিচের খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া উত্তরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। সবমিলিয়ে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে গেছে।

এদিকে পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারে কাঁচামরিচের দাম বাড়লেও দামে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। কোনো কোনো খুচরা ব্যবসায়ী পাইকারির দ্বিগুণ দামে কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন।

কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, যা কিছুদিন আগে ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। অর্থাৎ পাইকারিতে কাঁচমরিচের দাম বেড়ে চারগুণ হয়েছে।

হঠাৎ কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আয়নাল বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে দিন দিন বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। এতে মরিচের খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণেই কাঁচামরিচের দাম বেড়ে গেছে।’

রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচামরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। অর্থাৎ প্রতিকেজি কাঁচামরিচের দাম পড়ছে ১৬০-২০০ টাকা। একই দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে মালিবাগ হাজীপাড়ায়। খিলগাঁও তালতলা বাজারে কাঁচামরিচের পোয়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। এমনকি ভ্যানে বিক্রি করা ব্যবসায়ীরাও কাঁচামরিচের পোয়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি করছেন।

রামপুরায় ভ্যানে কাঁচামরিচ বিক্রি করা রাজু বলেন, কিছুদিন আগেও ভ্যানে বস্তা বস্তা কাঁচামরিচ বিক্রি করেছি। এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। যে কাঁচামরিচের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি করেছি এখন তা এক পোয়া ৪০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারিতে কাঁচামরিচের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।

খিলগাঁওয়ে ৫০ টাকা পোয়া কাঁচামরিচ বিক্রি করা হারুন বলেন, ‘পাইকারিতে দাম যখন কম ছিল তখন আমরাও কাঁচামরিচের পোয়া ১৫ থেকে ২০ টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। ৫০ টাকার নিচে এক পোয়া কাঁচামরিচ বিক্রি করার উপায় নেই।

কারওয়ান বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তাহলে আপনারা এক পোয়ার দাম ৫০ টাকা রাখছেন কেন? এমন প্রশ্ন করলে এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘কারওয়ান বাজারে সব ধরনের কাঁচামরিচের কেজি ৮০ টাকা না। মরিচের মধ্যে ভালোমন্দ আছে। আমাদের মরিচ ভালো মানের। তাছাড়া পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামে কিছু পার্থক্য থাকবে-এটাই স্বাভাবিক।

মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী আলাল বলেন, ‘কিছুদিন আগেও এক পোয়া কাঁচামরিচ ১৫ টাকা বিক্রি করেছি। সেই মরিচ এখন ৪০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। এরপরও আড়তে মরিচ সেইভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। বৃষ্টিতে মরিচের খুব ক্ষতি হয়ে গেছে। আর কয়দিন এভাবে চললে মরিচের দাম আরও বেড়ে যাবে।

রামপুরা বাজারে সবজি কিনতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত সপ্তাহেও ব্যবসায়ীরা ডেকে ডেকে আধাকেজি কাঁচামরিচ ৩০ টাকা বিক্রি করেছে। কিন্তু আজ এক পোয়া ভালো মানের কাঁচামরিচ কোথাও ৫০ টাকার নিচে পেলাম না।

খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা আমিনুল বলেন, ‘সবসময় দেখি বৃষ্টি হলেই কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যায়। মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও এর ব্যতিক্রম হলো না। ১৫ টাকা পোয়া বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ এক লাফে ৫০ টাকা হয়ে গেছে। কতদিন এই অবস্থা থাকবে তার ঠিক নেই। আমাদেরও কিছু করার নেই। দাম যতই হোক মেনে নিতে হবে।

সূত্র : জাগো নিউজ

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net