শুক্রবার, ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:২২

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
পরিচালক থাকেন ঢাকায় অফিস চলে ঠাকুরগাঁও!

পরিচালক থাকেন ঢাকায় অফিস চলে ঠাকুরগাঁও!

dynamic-sidebar

তালাশ ডেস্কঃ জনবল সংকট আর কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে ঠাকুরগাঁও জেলার জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুব সমাজের আত্বকর্মী হতে ভূমিকা রাখতে পারছে না। খোদ উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি দিয়ে মাসের পর মাস ঢাকায় বসে থাকার অভিযোগও রয়েছে।

 

ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর সড়কের পাশে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর মৌজায় প্রায় ৫ একর জমির উপর ঠাকুরগাঁও যুব ভবন অবস্থিত। সরকারি অর্থে নির্মিত একটি দৃষ্টি নন্দন ভবনে যুব উন্নয়ন অফিসের কার্যক্রম চললেও এ ভবনটি বেশিরভাগ সময়ে থাকে ভুঁতুড়ে অবস্থায়। এখানে আবাসিক ও অনাবাসিক বিভিন্ন ট্রেডে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হলেও মাঠ পর্যায়ে আত্মকর্মী নেই বললেও চলে। 

বর্তমানে ৮০ তম ব্যাচ চললেও গ্রাম পর্যায়ে কতজন সফল আত্মকর্মী রয়েছে তার হিসেব নেই এ জেলা কার্যালয়ে। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তারা আত্বকর্মীদের দেখভাল করেন বলে জেলা অফিসে কোন তালিকা নেই।

সেলাই ট্রেডে ২৫ জন, কম্পিউটার ট্রেডে ৪০ জন, ইলেক্টিক্যাল এন্ড হাউজ ওয়্যারিং ট্রেডে ৩০ জন, ইলেক্টনিক্স এন্ড রেফ্রিজারেশন ট্রেডে ৩০ জন, মোবাইল রিপ্যারিং ট্রেডে ২৫ জন এবং মৎস্য চাষ ট্রেডে অনাবাসিক ২৫ জন প্রশিক্ষর্ণার্থী ভর্তি হয়।

এখানে ১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৮ জন। তন্মধ্যে ২ জন এডি, ১ জন ইউডি, ১ জন প্রশিক্ষক সহ ৫টি পদে কোন লোক নেই। এদিকে উপ-পরিচালক আব্দুল কাদির মাসের বেশিরভাগ সময়ে অফিস ফাঁকি দিয়ে ঢাকার বাসায় অবস্থান করেন এমন অভিযোগ রয়েছে। মাঝে মাঝে তিনি বেতন উত্তোলনের জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে আসেন। সর্বশেষ গত ৩ নভেম্বর তিনি অফিস করলেও তারপর থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তার অনুপস্থিতির কারণে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং সহ দাপ্তরিক কাজে চরম ব্যাঘাত ঘটছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রশিক্ষণার্থী অভিযোগ করে বলেন, প্রশিক্ষণার্থীদের পোশাকের জন্য প্রতি বছর সরকারি ভাবে বরাদ্দ আসলেও উপ-পরিচালক কাউকে না জানিয়ে গোপনে সমুদয় টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। 

অফিসের ডাটা এন্ট্রি সহকারি জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, অফিসে অনেকেই সময় মত আসেন না। বেশির ভাগ সময় ছুটিতে থাকেন অফিসের কর্মকর্তারা। 

এ ব্যাপারে উপ-পরিচালক আব্দুল কাদির সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা সরকারি ভাবে যত বরাদ্ধ পাই তা প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। আমি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পরিদর্শনের কারণে অফিসে কম সময় দেওয়া হয়।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net