খবর বরিশাল ডেস্ক ॥ বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাড়কের বরিশাল মহানগরীর প্রায় ১৫ কিলোমিটার অংশ প্রশস্তকরণের কাজ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে সিটি করপোরেশনের একটি অবৈধ পার্ক নির্মানের কারণে। প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়িয়ার পাড় এলাকা থেকে মহানগরীর অভ্যন্তর ভাগ হয়ে দপদপিয়াতে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর সংযোগ সড়ক পর্যন্ত মহাসড়কটি ৪ লেনের আদলে নির্মিত হচ্ছে।
‘এম খান লিমিটেড’ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে ৭০ ভাগ কাজ বেশ ভালো ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। কাজের মান নিয়ে সওজ কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বরিশাল সড়ক বিভাগ মহাসড়কটি ২৪ ফুট থেকে ৪৮ ফুটে প্রশস্তকরণের কাজ প্রায় শেষ করে আনলেও কাশিপুর থেকে দপদপিয়া পর্যন্ত মহানগরীর মূল অংশে ডিভাইডার সহ তা প্রায় ১শ ফুট প্রশস্ত করা হচ্ছে। কিন্তু নগরীর টিটিসি’র দু নম্বর গেট থেকে মুসলিম গোরস্থান রোডের মুখ পর্যন্ত মহাসড়কটির পশ্চিম পাশে সড়ক অধিদপ্তরের জমি দখল করে মূল ক্যারেজওয়ে’র ওপর সাবেক মেয়রের মায়ের নামে একটি পার্ক গড়ে তোলায় বড় ধরণের সমস্যা হচ্ছে।
সিটি করপোরেশন সড়ক অধিদপ্তরের জমি দখল করে দেশের ৮ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের ওপর পার্ক নির্মানের ফলে তা একটি স্থায়ী দুর্ঘটনাস্থলে পরিনত হয়েছে বলে মনে করছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।একটি জাতীয় মহাসড়কের জমি দখল করে সিটি করপোরেশনের মত জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ পার্কটি গড়ে তুললেও সড়ক অধিদপ্তর অনেকটাই স্বেচ্ছা অন্ধত্বে ভুগছে । তবে বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার সাবেক মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তিনি নানা যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন বলে জানা গেছে।
এ পার্ক নির্মানের নামে সিটি করপোরেশনেরই ‘রাজকুমার ঘোষ রোড’টির সাথে মহাসড়কের সংযোগ স্থলটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে এখানে অন্তত ৩শ পরিবার সহ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের চলাচলের সহজ পথ রুদ্ধ করেছে সিটি করপোরেশন।অপরদিকে এ অবৈধ পার্কটির পূর্ব পাশ থেকে হাতেম আলী কলেজের খেলার মাঠ এলাকা থেকে নবগ্রাম রোড-চৌমহনী পর্যন্ত মাত্র ৩শ মিটার এলাকায় মহাসড়কটি প্রশস্ত কাজ শুরু না হলেও পশ্চিম পাশের লেকটির পুরো পাড় জুড়েই পথ খাবারের অবৈধ দোকানপাট মহাসড়কটির গলা টিপে ধরে আছে।
ফলে নিত্য যানযটের সাথে ছোট বড় দুর্ঘটনা এখানে নিয়মিত আতংকের বিষয়ে পরিনত হয়েছে।বিদায়ী নগর পরিষদের এ অবৈধ পার্কটি অবিলম্বে অপসারণে স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষের দাবীর বিষয়টি বিবেচনার আশ^াস দিয়েছেন নতুন সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ সহ নগর পরিষদের দায়িত্বশীলরা।
বরিশাল সদর আসনের এমপি ও আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদ ফারুকও পার্কটি অপসারণের বিষয়টি বিবেচনায় রাখার কথা জানিয়েছেন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।তবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জমি দখল করে জাতীয় মহাসড়কের মূল ক্যারেজওয়ের গাঁ ঘেষে নির্মিত এ পার্কটির বিষয়ে বরিশাল সড়ক বিভাগের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply