আমাদের সময়ে (রকিব কমিশন) যে ভোট হয়েছে সেটা আমরা আর চাই না। কারণ আমাদের সময় আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। দেশের অনেক বড় দল ওই নির্বাচনে অংশ নেইনি। গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ এ মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাবেক এ কমিশনার এসব কথা বলেন।এসময় সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার, সাবেক সচিবসহ ১৬ জন বিশেষজ্ঞ বৈঠকে অংশ নেন। কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
শাহ নেওয়াজ বলেন, আমরা অনেক কঠিন সময়ে নির্বাচন করেছি। ঐ সময়ের সঙ্গে এখনকার সময় মিলানো যাবে না। এখন সময় অনেক ভাল। আমি মনে করি সবার অংশ গ্রহণে আগামী নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আইন ও সীমানার তেমন পরিবর্তন করার প্রযোজন নেয়। অল্প কিছু জায়গায় পরিবর্তন আনা যেতে পারে। তবে যত কম পরিবর্তন করা যায় তত ভাল। আমি মনে করি বিদ্যমান আইনের নির্বাচন করা যেতে পারে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছুহুল হুসাইন বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে কিভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এই ইস্যুটা রাজনৈতিক দলের। এটা সেটেলের বিষয়। বিচারিব ক্ষমতা যে দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আর্মি থাকবে আইন অনুযায়ী। আমার মনে হয়ে, ইসি একটা উদ্যোগ নিতে পারে দলগুলোর সমঝোতায়। সবাইকে এক করে দলগুলোর মধ্যে গ্যাপ দুর করতে। এতে সফল হবে এর কোনো গ্যারেন্টি নেই। তবে সফল না হলে কোনো দোষ থাকবে না। নির্বাচন কমিশনের আইন শক্ত ও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে হবে। ৬ লাখ লোকবলকে মোটিবেট করতে হবে নিরপেক্ষ থাকার জন্য। কেননা তারা নিরপেক্ষ না থাকলে নির্বাচন নিরপক্ষে হবে না। আগে থেকেই চিহ্নিত করেই প্রশিক্ষণ ও মোটিবেভশন করতে হবে।
৩১ জুলাই সুশীল সমাজ, ১৬ ও ১৭ অগাস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধি, ২৪ অগাস্ট থেকে ১৯ অক্টোবর ৪০ টি নিবন্ধিত দল, ২২ অক্টোবর পর্যবেক্ষক, ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রী ও ২৪ অক্টোবর নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সংলাপ হয়।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply