খবর বরিশাল ॥ বরিশালের বিভিন্ন স্থানের গাছে গাছে সবুজ পাতা ভেদ করে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল। প্রকৃতিতে এখন শীতের আমেজ।
শীত যেতে না যেতেই আমের মুকুল জানান দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ বাতাসে ভাসছে। যে গন্ধ মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা দিচ্ছে আমের মুকুল। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের ডালপালা। এ যেন কাঁচা সোনা। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর।
বরিশাল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক মাস আগেই আবহাওয়াগত ও ভীন্ন ভীন্ন জাতের কারণেই মূলত আমের মুকুল এসেছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে তীব্র শীতে মুকুলের ক্ষতি না হলেও কুয়াশা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। গবেষকদের মতে, ঘন কুয়াশা হলে আমের মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, শৈত্যপ্রবাহ ফলে তাপমাত্রা কমে, বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
তবুও নগরীর বিভিন্ন স্থানের আম গাছে ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহেই আগাম মুকুল চলে এসেছে। বরিশাল জেলায় গ্রামীণ এলাকার আম গাছগুলোতে এখনও তেমন মুকুল দেখা যায়নি। তবে নগরীর কিছু গাছে আগাম আমের মুকুল দেখা যাচ্ছে।
বিশেষ করে পুলিশ লাইন, বরিশাল জজকোর্ট প্রাঙ্গণ, বগুড়া রোড, বান্দ রোড এলাকায় আম গাছে মুকুলের দেখা মিলছে। এছাড়াও কিছু কিছু বাসা বাড়ির গাছেও দেখা গেছে আমের মুকুল। জেলা আইনজীবী সমিতির এডভোকেট সোহেল রানা শান্ত বলেন, প্রতিবছর কিছু গাছে আগাম আমের মুকুল আসে।
এবারও এর ব্যাতিক্রম হয়নি। মাঘ মাস শেষ হতে না হতেই গাছে মুকুলে ছেয়ে যাবে। নগরীর পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ছাদ বাগানগুলোতেও আমের মুকুল আসা শুরু করেছে।
মুকুল আসার আগে থেকেই আমরা গাছের পরিচর্যা শুরু করেছি। এবার আবহাওয়াও অনুকূলে রয়েছে, আশা করছি ফলন ভালো হবে। বরিশাল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সারমিন আক্তার জানান,এখন কিছু কিছু গাছে আগাম আমের মুকুল এসেছে। তবে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে গাছে গাছে আমের মুকুল দেখা যাবে।
তবে ঘন কুয়াশা বা শৈত্য প্রবাহ নামলে আগাম মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেকারণে যারা বাণিজ্যিকভাবে আমের বাগান করছে তাদের একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply