নিজের ব্যবসায়ীক দুর্বলতাকে ঢাকতে গিয়ে প্রথমে মামলা এবং পর্যায়ক্রমে পণ্যের অপপ্রচারে নেমেছে ভেগাবন্ড মোবাইল সেলস্ সেন্টারের স্বত্বাধিকারী আকমল হোসেন তালুকদার।দক্ষিণাঞ্চলে দ্রুত বর্ধনশীল ও গ্রহক চাহিদায় উল্লেখযোগ্য স্থান ধরে রাখা আর্ন্তজাতিক মানের মোবাইল কোম্পানী ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেড (ITEL)-এর বিরুদ্ধে চলছে এই ষড়যন্ত্র। সম্প্রতি আইটেল কোম্পানীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার নথি পর্যালোচনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, সাধারন মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্য, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসেবাসংশ্লিষ্ট এই মোবাইল সেট বিক্রির প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে অন্য কোম্পানীর কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা ভোগ করে নিজের ডিলারশিপপ্রাপ্ত কোম্পানীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আকমল হোসেন তালুকদার। মামলায় বিবাদী করেন, আইটেল বরিশাল জোন’র এরিয়া সেলস ম্যানেজার মো.হাবিবুর রহমান, সিইও রেজওয়ানুল হক আরিফ চৌধুরী ও কান্ট্রি ম্যানেজার শ্যামল সাহাকে। মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশ ভুলভাবে সংজ্ঞায়িত করে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন আইটেল কোম্পানীকে। নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি বছরের ৮ অক্টোবর উল্লেখিত তিন কর্মকর্তাকে বিবাদী করে বরিশাল সিনিয়র জেলা জজ আদালতে মামলা দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং ২৫৬/১৭)। মামলাটি আমলা নিয়ে বিরোধ নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে কোন ডিলার নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন আদালত। কিন্তু এই ডিলার নিয়োগের নিষেধাজ্ঞাকে পুঁজি করে মোবাইল সেট বিক্রিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ পাোয়া গেছে। আকমল হোসেন তালুকদার আদালতের নির্দেশনা ভুল সংজ্ঞায়িত করে অপ-প্রচার চালাচ্ছে মোবাইল সেট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে আদালত। আদালত নির্দেশে উল্লেখ করেছেন, নিষেধাজ্ঞা নোটিশ দোতরফা শুনানী না হওযা পর্যন্ত এবং বাদীর সহিত বিরোধ নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তি বরাবর ডিলারশিপ প্রদান হতে ব্বিাদী পক্ষকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দ্বারা করিত করা হল।’ নথি পর্যালোচনায় বরিশাল আইনজীবী সমিতির একজন জেষ্ঠ্য আইনজীবী বলেন, মোবাইল ফোন কোম্পানীর সাথে বিরোধ ডিলারের সাথে। সেক্ষেত্রে উৎপাদিত পন্যের সাথে বিরোধ থাকবে কেন? আর সে কারণেই আদালত ডিলার নিযুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে কিন্তু পণ্য (মোবাইল সেট) বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এমন কোন নির্দেশনা আদালতের আদেশনামায় প্রতিয়মান হয় না। আদালতের নির্দেশ অনুসারে আইটেলের মোবাইল সেট বিক্রিতে কোন বাধা আছে বলে আমার কাছে মনে হয় না বলে মত দেন ওই আইনজীবী। বরিশালের আঞ্চলিক পরিবেশক জামাল আহমেদ মানিক (ডিস্ট্রিবিউশন হাউজঃ ক্ষণিকা ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্ট) এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের পণ্যের মান এবং সাশ্রয়ী মুল্যের সাথে রিটেইলারদের আন্তরিক সহযোগিতায়, আইটেল মোবাইলের সেলস ভলিউম দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি উল্ল্যেখ করেন, বর্তমান সময়ে দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তম মোবাইল ব্র্যান্ড আইটেল মোবাইল। উল্লেখ্য, মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারী কোম্পানী ট্রানশান হোল্ডিংস এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেড এর মাধ্যমে আইটেল মোবাইল বাংলাদেশের বাজারে যাত্রা শুরু করে। প্রাথমিকভাবে দেশের উত্তরাঞ্চল ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে জনপ্রিয়তা পেলে দেশব্যাপী নিজেদের বিক্রয় প্রতিনিধি এবং পরিবেশক নিযুক্ত করে আইটেল মোবাইল; যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বরিশাল।পণ্যের গুনগত মান, সাশ্রয়ী ও গ্রহনযোগ্য মূল্য, ভোক্তার ব্যবহার অভিজ্ঞতা এবং বিক্রয়োত্তর সেবা, আইটেল মোবাইলকে দ্রুততম সময়ে দক্ষিণাঞ্চল এর গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং রিটেইলারদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এ বিষয়ে কথা বললে, ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেড এর সিইও জনাব রেজওয়ানুল হক বলেন, বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল মোবাইল ফোন বাজারের মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশ এবং সারাদেশ জুড়ে মোবাইল ফোনের বিশাল বাজার নিয়ন্ত্রিত হয় রিটেইলারদের দ্বারা। সারাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা রিটেইলাররাই ভোক্তার প্রয়োজন, সুযোগ এবং সুবিধার ব্যাপারে সবার আগে অবগত হন। তাদের মাধ্যমে আইটেল মোবাইল ক্রেতাসাধারনের চাহিদা এবং সাধ্য অনুযায়ী মোবাইল ফোন পৌঁছে দেবে সবার কাছে । এই কর্মকর্তারা মনে করেন, আইটেলের জনপ্রিয়তাকে প্রতিহত করতে যেকোন ধরনের অপচেষ্টা করা হোকনা কেন সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ডে রুপ নিবে আইটেল।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply