স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরোধিতা করলে ক্রসফায়ার দিয়ে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগে মেহেন্দিগঞ্জের কাজীর হাট থানার ওসি মাসুম তালুকদারসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাজীর হাটের রতনপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ খান মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক শাম্মি আকতার মামলাটি গ্রহণ করে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৯ নভেম্বর আদালতে দিন ধার্য্য করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কাজীর হাট থানার এসআই রতন কুমার ও এসআই লুৎফর রহমান। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরো ৩/৪জন কনেস্টেবলের নাম রাখা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর রাত ৩টায় আসামিরা আব্দুর রশিদ খানের বাড়িতে গিয়ে দরজায় ধাক্কা দেয়। এসময় ভেতর থেকে কে জানতে চাইলে কোন জবাব না দেয়ায় পরিবারের লোকজন ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। এতে পরিস্থিতি সামলাতে নিজেদের পরিচয় দিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। এরপর ঘরের মালামাল তছনছ করে বিছানার নিচ থেকে সুপারি বিক্রির ১২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। একই সাথে ঘরের কর্তা আব্দুর রশিদ খানের কাছে ৫০ হাজার
টাকা চাঁদা চায়। ওসি জানায় তার দাবিকৃত টাকা দেয়া না হলে রশিদ খানকে মাদক দিয়ে চালান দেয়া হবে। তার দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় রশিদ খানকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তাকে জানায় তার ছেলেরা যদি এমপির বিরুদ্ধে যায় বা তার বিরুদ্ধে কোন পোস্টার লাগায় তাহলে ছেলেদের ক্রস ফায়ার দিয়ে তাদের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হবে।
মামলার অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, বরিশাল-৪ মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেই পুলিশকে দিয়ে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হয়। পুলিশ ওই মামলায় এমপির দোহাই দিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদার টাকা আদায় করে।
কাজীর হাট থানার ওসি মাসুম তালুকদার জানান, আব্দুর রশিদ খানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ তার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় রশিদ খান ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে গ্রামবাসী জড়ো করে পুলিশি কাজে বাঁধা দিলে তাকেও গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে রশিদ খানকে ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হলেও মামলার চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হলে তিনি হয়রানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply