বরিশালের বানারীপাড়ায় সরকারের গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর প্রতিবেদন করার কথা বলে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে ‘ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন’ ফেলে পালিয়েছে ৪ প্রতারক। তাদের প্রতারনার বিষয়টি বুঝতে পেরে গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা কার্যালয়ে নিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। বানারীপাড়ার সংবাদ কর্মী গোলাম মাহমুদ রিপন জানান, গত বুধবার মারুফ নামে এক ব্যক্তি নিজেকে বিটিভি’র সিনিয়র সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সরকারের গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর সচিত্র প্রতিবেদন করার জন্য ইউএনও ইসরাত জাহানের কাছে সার্বিক সহায়তা চান। পরে ইউএনও তাকেসহ দলের ৪ সদস্যকে জেলা পরিষদ ডাক বাংলায় থাকার অনুমতি দেন। ওইদিন মারুফ ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাদের সাথে যোগাযোগ করে প্রতিবেদন করার কথা বলে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করেন। চাখার ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদার জানান, বুধবার দুপুরে মারুফ নামে ওই ব্যক্তি তার কাছে সরকারের গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের তথ্য চান এবং তার সাক্ষাতকার নেন। সাক্ষাতকার শেষে খরচ
বাবদ ১০ হাজার টাকা দাবি করলে তিনি (খিজির) ৫ হাজার টাকা দেন। পরে একইভাবে বিশারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্ত’র কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা, সৈয়দকাঠীর চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান মৃধা ও ইলুহারের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায়ে করে। পরদিন বৃহস্পতিবার বিটিভি’র কথিত সাংবাদিক একই উপজেলার উদয়কাঠী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাহাদ আহম্মেদ ননীর কাছে সাক্ষতকার গ্রহন করতে যায়। সাংবাদিকের কথায় সন্দেহ হলে ননী বিটিভি’র সিনিয়র সাংবাদিক সুজন হালদারের মোবাইলে কথা বলেন। সুজন তাকে মারুফ নামে বিটিভি’র কোন সাংবাদিক নেই বলে জানিয়ে দেন এবং ভুয়া সাংবাদিককে পুলিশে সোপর্দ করতে বলেন। পরে তাকেসহ তার দলের ৪ সদস্যকে উপজেলা অফিসে নিয়ে যান ইউপি চেয়ারম্যান ননী। পরে তারা ভিডিও ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন রেখে ভাত খাওয়ার কথা বলে সটকে পড়েন। এ ব্যাপারে বানারীপাড়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. রুহুল বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পাই নাই। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply