শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:৪২

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতি

পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতি

dynamic-sidebar

তিন মাসের নাটকীয় নানা ঘটনার পর অবশেষে পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। শুক্রবার তিনি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে সিঙ্গাপুর থেকে কানাডার উদ্দেশে যাত্রা করেন বলে যানা যায়। বিচারক অপসারণ নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তাকে নিয়ে যে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্ট হয়, পদত্যাগের মাধ্যমে তার ইতি টানলেন তিনি।এ ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘সংবিধানের ৯৬ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যে কোনো বিচারপতি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠাতে পারেন। আমি মনে করি এটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠালেই হবে।’এসকে সিনহার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, তিনি দেশে ফিরে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে সিঙ্গাপুরে বসেই পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এ বিষয়ে তার স্ত্রী, দুই মেয়েসহ পারিবারের অন্য সদস্যরা বেশি ভূমিকা রেখেছেন।সূত্র জানিয়েছে, পদত্যাগ কার্যকর হতে সময় লাগবে। এটি প্রথমে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কাছে আসবে। তার পর সেটি আইন মন্ত্রণালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছবে। রাষ্ট্রপতি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করলেও কোনো সাংবিধানিক শূন্যতার সৃষ্টি হবে না। কারণ সংবিধানে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বলা আছে।এর আগে ১ আগস্ট উচ্চ আদালতের বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে নিয়ে করা ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় প্রকাশিত হয়। এ রায়ে প্রধান বিচারপতির দেওয়া বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও সরকারপন্থি আইনজীবীরা। তারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিও তোলেন। সমালোচনার মধ্যেই ১ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা হঠাৎ করেই এক মাসের ছুটির কথা জানিয়ে চিঠি দেন।পরের দিন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।আইনমন্ত্রী জানান, প্রধান বিচারপতি ক্যান্সারে আক্রান্ত। পরে ১১ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতির এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার ছুটি ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।গত ১৩ অক্টোবর রাতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধান বিচারপতি। দেশ ছাড়ার আগে প্রধান বিচারপতি তার বাসভবনের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অসুস্থ নয়। বিচার বিভাগের স্বার্থে ফিরে আসব। ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে একটি মহল প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছেন।’তিনি একটি লিখিত বিবৃতিও সাংবাদিকদের দিয়ে যান। পরের দিন ১৪ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ ওঠার পর তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এ কারণে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসতে চাননি আপিল বিভাগের বিচারপতিরা। এ অবস্থায় প্রধান বিচারপতির দেশে ফেরা নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়।জানা যায়, গত সপ্তাহের প্রথম দিকে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা একাই অস্ট্রেলিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে আসেন। সেখানে উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধানের জন্য দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাসহ তৃতীয় একটি পক্ষও ছিল। বৈঠকে এসকে সিনহা ১১ অভিযোগের বিষয়টি নিষ্পত্তি করে সম্মানজনকভাবে দেশে ফিরে বিচারকার্য পরিচালনার জন্য এজলাসে বসতে চেয়েছিলেন। অন্যথায় পদত্যাগ করতে চান।জানা যায়, গত সপ্তাহের প্রথম দিকে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা একাই অস্ট্রেলিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে আসেন। সেখানে উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধানের জন্য দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাসহ তৃতীয় একটি পক্ষও ছিল। বৈঠকে এসকে সিনহা ১১ অভিযোগের বিষয়টি নিষ্পত্তি করে সম্মানজনকভাবে দেশে ফিরে বিচারকার্য পরিচালনার জন্য এজলাসে বসতে চেয়েছিলেন। অন্যথায় পদত্যাগ করতে চান।প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতির ছুটির মেয়াদের শেষ দিন ছিল ১০ নভেম্বর। এর আগে কোনো কোনো গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়, প্রধান বিচারপতি ১৩ নভেম্বর দেশে ফিরছেন। এ জন্য প্রধান বিচারপতির প্রয়োজনীয় প্রটোকল প্রস্তুতের জন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকে বিষয়টি তিনি জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেলের দপ্তর থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ওই দপ্তরের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে কিংবা তথ্য দিতে নারাজ।এর আগে গত ২ অক্টোবর এক মাস ছুটির কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি পাঠান প্রধান বিচারপতি, যার মেয়াদ ছিল ১ নভেম্বর পর্যন্ত। ছুটিতে থাকা অবস্থায় প্রধান বিচারপতির ১৩ অক্টোবর বা কাছাকাছি সময়ে বিদেশে যাওয়ার এবং ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশে থাকার ইচ্ছা পোষণের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করতে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। গত ১০ অক্টোবর বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে পাঠানো ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় ১২ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ হিসেবে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটির মেয়াদ শেষ হয়।তবে এর আগে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেছিলেন প্রধান বিচারপতির যখন ইচ্ছা তখন দেশে ফিরে এজলাসে বসতে পারেন।প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা চান সম্মানজনকভাবে দেশে ফিরে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য এজলাসে বসতে এবং তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত ১১ অভিযোগের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পারবেন।কিন্তু আপিল বিভাগের বিচারপতিরা আগেই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসে বিচারকাজ পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়ায় ওই আশা পূরণের বিষয়টি অনেকটাই সুদূর পরাহত বলে আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলও বিষয়টি বারবার গণমাধ্যমকে বলে আসছিলেন।ইতোমধ্যে সরকার ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের সেই পুরো রায়ের রিভিউ আবেদনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আইনমন্ত্রী।সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর থেকে সরকারের শাসন বিভাগের সাথে বিচার বিভাগের টানা পোড়েন শুরু হয়। আইনজীবী সমিতির নেতারা এসময় অভিযোগ করে বলেছিলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net