রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:৩১

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
জনসভায় বিপুল লোক সমাগমের টার্গেট বিএনপির

জনসভায় বিপুল লোক সমাগমের টার্গেট বিএনপির

dynamic-sidebar

রোববারের (১২ নভেম্বর) জনসভায় ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে অতীতের সকল রেকর্ড ভাঙ্গার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়বাতাবাদী দল (বিএনপি)। আর এই প্রত্যয় বাস্তবায়ন করতে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

এই জনসভার মধ্য দিয়ে দলটি প্রমাণ করতে চায়, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপিই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। একই সঙ্গে জনসভায় খালেদা জিয়ার বক্তব্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহায়ক সরকারের রূপরেখাসহ সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কয়েকজন নেতা।

এদিকে জনসভার অনুমতি চেয়ে প্রশাসনের কাছে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) চিঠি পাঠালে অনুমতি হবে কি হবে না তা নিয়ে সংশয় ছিল দলটির মধ্যে। তবে শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে ২৩ শর্তে জনসভার লিখিত অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এসব শর্তে অখুশি হলেও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলন বলেছেন, শর্ত যাই হোক না কেন, সমাবেশ সফল করতে আমরা প্রস্তুত আছি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতারা এই সমাবেশে নেতাকর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি ঘটাতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো এবং ঢাকা মহানগরসহ ঢাকার অদূরবর্তী জেলার নেতাকর্মীদের জনসভায় অংশগ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি দলটির সিনিয়র নেতারা ঢাকার আশপাশের জেলা ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রক্ষা করছেন।

দীর্ঘদিন থেকে মাঠে ময়দানে তৎপর না থাকলেও খালেদা জিয়া দেশে ফেরার পর থেকেই বিএনপি তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করেছে। খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দরে দলের নেতাকর্মী ও জনসাধারণের উপস্থিতিতে নেতারা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। এরপর কক্সবাজার সফরে জনসমাগম দেখে পুরোদমে চাঙ্গা বিএনপি এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

এর মধ্যে যদিও রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ছিল মানবিক। অন্যদিকে, এটা সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ। যেসব নেতাকর্মী দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় ছিল তারা খালেদা

জিয়ার সফরকে কেন্দ্র করে রাস্তায় নেমে এসেছে এবং ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়েছে। এতে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা যেমন, তেমনি কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিল উজ্জ্বীবিত। নেতা কর্মীদের সক্রিয় করতে এটা তাদের এক ধরনের ক্যাম্পেইন। এই কাজের মধ্য দিয়ে নেতা কর্মীদের সক্রিয় করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে দলটি।

তারই ধারাবাহিকতা এই জনসভা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা সফল করতে দলের সিনিয়র নেতা মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু,  মোহাম্মদ শাহজাহান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সার্বক্ষণিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আশা করবো জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।

মির্জা আব্বাস বাংলানিউজকে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা করতে আমরা সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করি। তারা যেন কোনো রকমের উস্কানিমূলক কার্যক্রম না করেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসতে বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলছে, উপর থেকে নিষেধ আছে। সরকারের প্রতি প্রত্যাশা জনসভায় যেন বাধা না দেয়া হয়। হাজার হাজার নয়, খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনতে লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগম হবে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net