সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:৩৯

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
ভোটেই সরকার পরিবর্তন চান খালেদা জিয়া

ভোটেই সরকার পরিবর্তন চান খালেদা জিয়া

dynamic-sidebar

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, মানুষ পরিবর্তন চায়। আমরা আগেই বলেছি, পরিবর্তন হতে হবে নির্বাচনে। পরিবর্তন হতে হবে ভোটের মাধ্যমে।

রোববার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। চুরি করে জেতার মধ্যে আনন্দ নেই। যারা জনগণকে পাশ কাটিয়ে জিততে চায়, তারা জনগণকে ভয় পায়। জনগণকে নিয়ে আমাদের রাজনীতি। যদি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হয় তাহলে সেনা মোতায়েন করতে হবে। সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিতে হবে। নির্বাচনে ইভিএম চলবে না।

খালেদা জিয়া বলেন, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন হতে হবে। মানুষকে ভোট দেয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।

‘নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেশের মানুষ কী চায় সেইটা যাচাই করুন। ২০১৪ সালে কোনো নির্বাচন হয় নাই। ৫ শতাংশ ভোটও তারা পায় নাই। এ সংসদ অবৈধ, এ সরকার অবৈধ। কীভাবে বলবে জনগণের সরকার?’-যোগ করেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বলব, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা আপনাদের দায়িত্ব। আপনারা নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলেন। শেখ হাসিনার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। চুরি করে জেতার মধ্যে আনন্দ নেই। যারা জনগণকে পাশ কাটিয়ে জিততে চায়, তারা জনগণকে ভয় পায়।

তিনি বলেন, জনগণকে নিয়ে আমাদের রাজনীতি। যদি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হয় তাহলে সেনা মোতায়েন করতে হবে। সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিতে হবে। নির্বাচনে ইভিএম চলবে না।

খালেদা জিয়া বলেন, তারা কথায় কথায় উন্নয়নের কথা বলে। কিন্তু তারা উন্নয়নের নামে লুটপাট করছে। ইউরোপ-আমেরিকায় রাস্তা নির্মাণে যে খরচের তিনগুণ খরচ করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। তাও সেগুলো ঠিকভাবে হচ্ছে না, ভেঙে ফেলতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টকে দায় মুক্তি দেয়া হয়েছে। সব পুরনো জিনিস বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। এগুলো একবার চলে, আবার বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলেও মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। প্রতি পদে পদে ধোঁকাবাজি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া নেই উল্লেখ করে খালেদা বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ সব নিয়ন্ত্রণ করছে। শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলছে। নারীদের নির্যাতন করছে। আগে গণঅত্যাচার দেখিনি। নতুন নতুন জিনিস আমদানি করছে তারা।

বিএনপি নেত্রী বলেন, গুম, খুন ও হত্যার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। যাদের গুম করা হয়েছে, তাদের অপরাধ তারা বিএনপি করে। বিদেশিরা এ বিষয়ে ঠিক জানে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বিচার বিভাগের কী অবস্থা করেছে, আপনারা দেখেছেন। প্রধান বিচারপতিকে জোর করে অসুস্থ বানিয়ে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে। দেশের বাইরে এজেন্সির লোক পাঠিয়ে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। চাপ সৃষ্টি করে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বলে থাকে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আপনাদের চাকরি চলে যাবে। আমরা হিংসার রাজনীতি করি না। কে কত যোগ্য, দক্ষ এসব বিবেচনা করে প্রমোশন দেয়া হবে। আপনারা নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন। তারা আপনাদের ভয় দেখায়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, তত্ত্বাবধায়কের দাবি এ আওয়ামী লীগের, জামায়াতের। ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। রাস্তায় অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক দাবির জন্য চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিনের পর দিন বন্ধ রেখেছিল।

এ দেশ এখন অচল উল্লেখ করে তিনি বলেন, রূপনগরে সরকারি অফিস মাত্র দুই ঘণ্টা চলে বলে পত্রিকায় খবর এসেছে। নির্বাচন হলে সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগ গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে এ দাবি করে বিএনপি নেত্রী বলেন, বাসে বাসে আগুন দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমরা মানুষ হত্যা করব না। আমরা আপনাদের শুদ্ধ হওয়ার সুযোগ দিতে চাই। শুদ্ধি অভিযান।

খালেদা বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষ ভয় পায়। আমরা মানুষ ভয় পাই না। মানুষই আমাদের ভরসা। আমি তাদের (আওয়ামী লীগ) ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু জনগণ জানে তারা কত অবিচার করেছে।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এটা শুধু অবৈধ ভোটারবিহীন সরকারের সমস্যা না। এটা জাতীয় সমস্যা। তাদের শুধু ফিরিয়ে নিলে হবে না, নাগরিকত্ব দিয়ে নিরাপদে বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে।

আন্তর্জাতিক সংস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন, রাশিয়া, ভারতসহ বড় বড় দেশগুলোকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net