মঙ্গলবার, ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:৪৮

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মুসলিম দেশগুলোকে রক্তাক্ত করছে-প্রধানমন্ত্রী

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মুসলিম দেশগুলোকে রক্তাক্ত করছে-প্রধানমন্ত্রী

dynamic-sidebar

তালাশ ডেস্কঃ  সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মুসলিম দেশগুলোকে রক্তাক্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


তিনি বলেছেন, ‘সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মুসলিম দেশগুলোকে রক্তাক্ত করছে। এই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস উচ্ছেদ করে দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে ওলামা-মাশায়েখসহ ইসলামী চিন্তাবিদদের কাজ করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়েজিত জাতীয় ইমাম সম্মেলন ও শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সনদ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা ওলামা সমাজের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কথা মানুষ শুনবে, আপনাদের কথা মানুষ মানবে। আমি আহ্বান করেছিলাম, জনগণ এ ব্যাপারে সাড়া দিয়েছে এবং বেশ কিছু কাজও করেছে। আমি চাই এটা আরো ব্যাপকভাবে প্রচার করা। আমরা চাই আপনারা যদি মানুষকে ভালভাবে বোঝান তাহলেই আমরা এই দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ চিরতরে নির্মূল করতে পারব এবং সে বিশ্বাস আমার আছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে বড় একটি সমস্যা মাদকাশক্তি এবং অপরটি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। এদের হাত থেকে আমাদের শিশুদের, যুব সমাজ তথা দেশবাসীকে রক্ষা করতে হবে।’

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু, সব থেকে বড় শক্তি মানুষের শক্তি। মানুষের ভেতর যদি সচেতনতা থাকে, যদি এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তাহলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দেশ থেকে চিরতরে দূর হবে।’

শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘আমরা সমগ্র বিশ্বকে দেখাতে চাই বাংলাদেশই পারবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে সত্যিকার ইসলাম ধর্মের মূল মর্মবাণী মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে। মানুষ যেন সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারে তা নিশ্চিত করতে।’

প্রধানমন্ত্রী ইমাম-ওলামায়ে কেরামগণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার আবেদন রয়েছে- ইসলাম শান্তির, সৌহাদ্য ও ভ্রাতৃত্বের ধর্ম। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে এটাতো কোরআন শরীফে বলাই আছে। সুরা কাফেরুনে বলা হয়েছে- লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়াদ্বিন। নিজের ধর্ম যেমন পালন করতে বলা হয়েছে তেমনি অন্য ধর্মের প্রতিও সম্মান দেখাতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমার খুব দুঃখ হয়- যখন দেখি এই ইসলাম ধর্মের নাম করে মানুষকে হত্যা করা হয়। নিরীহ মানুষ হত্যার পর হত্যাকারীরা বলে যে, মানুষ হত্যা করতে পারলেই নাকি তারা বেহেশতে চলে যাবে। এটা বিশ্বাস করাটাও আমি মনে করি গুনাহর কাজ, মহাপাপ।’

তিনি বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিচার দিনের মালিক। তিনি বিচার করবেন। তাহলে মানুষ হত্যাকারীরা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিয়ে কীভাবে আল্লাহর কথা বিশ্বাস করে আর ইসলামে বিশ্বাস করে সেটাই আমার প্রশ্ন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি আরেকটু খোলামেলা বলি- মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতেই মারামারি, কাটাকাটি ও খুন-খারাবি হচ্ছে। সেখানেই অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু এই অস্ত্রটা তৈরি করে কারা। আর লাভবান হয় কারা। রণক্ষেত্র বানাচ্ছে আমাদের মুসলমানদের জায়গাগুলো, রক্ত যাচ্ছে মুসলমানদের। আর এই অস্ত্র তৈরি করে, অস্ত্র বিক্রি করে কারা লাভবান হচ্ছে। সেটাই আপনারা একটু চিন্তা করে দেখবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সব সময় এর বিরুদ্ধে কথা বলি, প্রতিবাদ করি। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে- আমাদেরই কিছু লোক ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেও এসব জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড করে বলেই আমাদের পবিত্র ধর্মটা আজকে মানুষের কাছে হেয় হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের একটাই নিয়ত দেশের মানুষের কল্যাণ ও মঙ্গল করা, তাদের উন্নত জীবন দেওয়া এবং তাদের জীবনের সেই চাহিদাগুলো অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া। অর্থাৎ মানুষ যেন মানুষের মত জীবনযাপন করতে পারে তা নিশ্চিত করা। সেটা শহরেই হোক বা গ্রামেই হোক, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের জীবনের চাহিদা যেন পূরণ করতে পারি, মহান আল্লাহর কাছে সেই দোয়াই করি।’

ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও ধর্ম মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. বজলুল হক হারুন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল জলিল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। আরো বক্তৃতা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামিম মো. আফজাল এবং ইমাম ও ওলামায়ে কেরামগণের পক্ষে মাওলানা ওবায়দুল্লাহ এরশাদ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ২০১৫-১৬ বছরের ছয়জন শ্রেষ্ঠ ইমাম এবং ২০১৪-১৫ সালের ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত দেশব্যাপী শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আলেম ও ওলামা মাশায়েখ সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net