রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে রবিবার (১৯ নভেম্বর) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১৭ প্লাটুন বিজিবি সঙ্গে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মাঠে থাকবে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, রংপুরে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আগামী রোববার সকাল ১১টায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে ইসি। ঐ বঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এ আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাসহ রিটার্নিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন-পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
এ বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়েই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ছক চূড়ান্ত করবে ইসি।
কার্যপত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রতি সাধারণ ২টি ওয়ার্ডে ১ প্লাটুন করে মোট ১৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য একটি করে মোট ৩৩টি র্যাবের ফোর্স। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল ফোর্স প্রতিটি সাধরারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোট ৩৩ টি ফোর্স মোতায়েন করা হবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রতি ৩টি সাধারণ ওয়াডে ১টি করে মোট ১১টি ফোর্স থাকবে। রংপুরে ভোট কেন্দ্রে রয়েছে ১৯৩টি, সাধারণ ওয়ার্ড ৩৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১১টি।
ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্মসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় আরো বলা হয়, এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জন নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন রাখা যেতে পারে।
সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ভোটেও একই নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত ছিল।
এ সিটি করপোরেশনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন।
তফসিল ঘোষণার পর থেকে ছয়জন নির্বাহী হাকিম মাঠে রয়েছেন আচরণবিধি তদারকির জন্য। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে প্রচারণা শুরু হলেই প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে ৩৩ জন নির্বাহী হাকিম মাঠে থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামার পর তাদের নেতৃত্বেও থাকবে নির্বাহী হাকিম। এ সময় ১১ জন বিচারিক হাকিমও নিয়োগ করবে ইসি।
২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। পাঁচ বছর আগে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন। সেই নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল না।
এদিকে সবার সমান অধিকার এবং নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি জন্য বিভাগীয় কমিশনের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন । ইসির এক চিঠিতে এ কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। ওই কমিটিতে কমিটিতে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার, রংপুরের ডিসি, রিটার্নিং অফিসারসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে।
কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিটি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত এবং লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম মনিটর করবে। বিরুপ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নেবে। নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সহায়তা দেবে।
রংপুরে সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২২ নভেম্বর। মনোনয়ন বাছাই হবে ২৫ থেকে ২৬ নভেম্বর। মনোনয়ন বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৭ থেকে ২৯ নভেম্বর এবং অপিল নিষ্পত্তি হবে ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রর্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ ২১ ডিসেম্বর
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply