বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল থেকে ৩ দিন বয়সী নবজাতক শিশু খোয়া যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি খোয়া যাওয়ার কয়েকঘন্টার মাথায় হাসপাতাল কর্মচারীদের তৎপরতায় শিশুটিকে পিরোজপুরের কাউখালি থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে এবং একটি এ্যাম্বুলেন্স ও এর চালকসহ ২ নারীকে আটক করেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, ২৪ নভেম্বর সকালে হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হন ঝালকাঠির রাজাপুরের নৈকাঠী এলাকার পরিচয়ে শহীদুলের স্ত্রী লাইলী (২২)। ওইদিন রাতেই সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন তিনি। যে সন্তানককে রোববার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে চুরি হওয়ার অভিযোগ তোলেন স্বজনরা। নবজাতক শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত কর্মচারীরা জানান, রাত ১২ টার দিকে শিশুটির সাথে থাকা এক নারী দুধ খাওয়ানোর কথা বলে ওয়ার্ড থেকে বাহিরে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষন পর শিশুটি চুরি হয়েছে বলে স্বজনরা দাবী করে। তাৎক্ষনিক বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও থানা পুলিশকে জানানো হয়। পাশাপাশি স্টাফরা মিলে হাসপাতাল জুরে খোজ চালান। এসময় জানতে পারেন সরোয়ার নামের একজন চালক তার এ্যাম্বুলেন্সে করে একটি শিশু ও ২ নারীকে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। পরে সেই চালককে ফোন করে বিষয়টি জানানো হলে তিনি কৌশলে গাড়িটি পিরোজপুরের কাউখালি থানায় নিয়ে যান এবং থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে শিশুটিকে পুলিশ তাদের জিম্মায় নিয়ে যায় এবং চালকসহ তাদের তিনজনকেই আটক করে। শেবাচিম হাসপাতালের উপ পরিচালক আব্দুল কাদির জানান, তারা রাতেই বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। কিন্তু পুলিশ আসলে শিশুর মা কোন অভিযোগ দিতে চায়নি তাই তারা চলে যান। পরে সকালে নবজাতক শিশু ওয়ার্ড থেকে অভিযোগ দিলে পুলিশ এসে স্বজনদের নিয়ে যায়। তারা কাউখালিতে উদ্ধার হওয়া শিশু ও আটক হওয়াদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। কারন যখন শিশু চুরির অভিযোগ উঠেছে তখন শিশু বিক্রির কথাও শোনা যাচ্ছে। যার সাথে শিশুর মা লাইলী ও খালা নাছিমা জড়িত রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এসব কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন শিশুটির মা লাইলী। আর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আব্দুল কুদ্দুস। অপরদিকে ৩ জনকে আটক ও শিশুকে উদ্ধার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউখালি থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply