বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ (দপদপিয়া) সেতুর বরিশাল বিশ্ব বিদ্যালয় প্রান্তে র্কীতনখোলা নদীর তীরে শাহারা গ্রুপের স্থাপিত কয়লা ঘাটে নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা নিয়ে বুধবার দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। যদিও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা বলেছেন, দুই পক্ষকেই সমঝোতার মাধ্যমে এই ঘাট পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, আ’লীগ নেতা সুরুজ মোল্লা, মজিবর হাং এবং চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লিটন হাওলাদারসহ বেশ কয়েক ব্যাক্তির মালিকানাধীন র্কীতনখোলা নদীর তীরে ৮০ শতাংশ জমিতে শাহারা গ্রুপ তাদের আমদানিকৃত কয়লা মওজুত এবং পরিবহনের উদ্দেশে জমির মালিকদের সাথে চুক্তি করে। র্দীঘ দিন ধরে ঐ ঘাটে লেবার সরদারের কাজ করে আসছিল স্থানীয় শ্রমিক আনোয়ার ও লিটন মেম্বারের ভাই জাকির। শ্রমিক সরদার আনোয়ার অভিযোগ করে বলেন,কয়েক দিন পূর্বে হঠাৎ করে লিটন মেম্বার আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে ঘাট থেকে বিতারিত করার হুমকি দেয়। এনিয়ে কয়েক দিন ধরে আনোয়ার সরদার সমর্থিত স্থানীয় সেলিম, সোহেল, কামরুল, শামিম,কাইয়ুম, রমিম, আল-আমিনসহ ছাত্র-যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাথে ইউপি সদস্য লিটন হাওলাদারের বিরোধ চলছিল। এদিকে চাঁদা দাবির প্রতিবাদে শ্রমিকরা মানবনন্ধনের আয়োজন করলে অনুমতি না থাকায় বন্দর থানা পুলিশ তা ভন্ডুল করে দেয়। পরে ববি সংলগ্ন রাস্তায় বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। এব্যাপারে ঐ ঘাটের সিংহ ভাগ জমির মালিক আ’লীগ নেতা সুরুজ মোল্লা বলেন,স্থানীয় বেকার ছেলেরা গায়ে কয়লা লাগিয়ে যদি কিছু টাকা আয় করে সেটাতো ভালোই। আমি মেম্বার লিটনকে শ্রমিকদের উপার্জনের টাকা দিয়ে ভাগ নিতে নিষেধ করেছিলাম। এবিষয় বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা গোলাম মোস্তাফা হায়দার বলেন,শাহারা গ্রুপসহ উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে সমঝোতার মাধ্যমে ঘাট পরিচালনা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তার পরও যদি কেউ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘœ ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এবিষয় অভিযুক্ত চরকাউয়া ইউপি সদস্য লিটন হাওলাদার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো ঐঘাটের মালিক বলে নিজেকে দাবি করেন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply