বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে ৭১ দশমিক ১ ভাগ সেবাগ্রহীতা অনিয়ম, হয়রানী ও দূনীতির শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে ৫৪ ভাগ সেবাগ্রহীতা ঘুষ দিচ্ছে, ৩২ দশমিক ৩ ভাগ সেবাগ্রহীতার কাজের ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপন করা হচ্ছে। এছাড়া দশমিক ৬ ভাগ সেবাগ্রহীতার অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার শিকার হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পাসপোর্ট সেবায় সুশানের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাশে (টিআইবি) গবেষনা প্রতিবেদনের উপর সাংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি’র রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি’র অ্যাসিসট্যান্ড মো. আলী হোসেন’র গবেষনায় আরো বলা হয়, বরিশাল পাসপোর্ট অফিসের সেবার নির্ধারিত ফি’র বাহিরে গড়ে প্রতি সেবাগ্রগীতার কাছ থেকে ঘুষ সরুপ ১৮৫৪ টাকা নেয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নতুন পাসপোর্ট আবেদকারীদের মধ্যে ৮৯ দশমিক ৪ ভাগকে গড়ে ৮৯৬ টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে। এমনকি পুলিশ প্রতিবেদ প্রণয়নে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) কর্তৃক আবেদনপত্রে অযথা ত্র“টি খুজে বের করার চেস্টা বা ভয় দেখিয়ে ঘুষ নেয়া হচ্ছে। এখানে সঠিক সময় পাসপোর্ট বিতরণ করা হচ্ছে না। সেক্ষত্রে গড়ে ৮ দিন বিলম্ব হচ্ছে।
গবেষনায় দেখা গেছে, বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে আসা সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৩ জনকে দালালের সহযোগীতা নিতে হচ্ছে। আর ওই দালালরা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং পুলিশের এসবি সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে।
সংবাদ সন্মেলনে উপরক্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বরিশাল পাসপোর্ট অফিস অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী ও দালাল চক্রকে শাস্তির আওতায় আনা, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, পুলিশের সাথে নিয়োমিত সমন্বয় করাসহ তের দফা সুপারিশ উপস্থাপন করে সচেতনন নাগরিক কমিটি (সনাক)।
বরিশালের সদর রোডস্থ বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিডিএস) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল সনাক এর সভাপতি অধ্যক্ষ গাজী জাহিদ হোসেন, সদস্য প্রফেসর এম মোয়াজ্জেম হোসেন, মানবেন্দ্র বটব্যাল, প্রফেসর শাহ সাজেদা, নূরজাহান বেগম, সাইফুর রহমান মিরন, শুভঙ্কর চক্রবর্তী ও মো. শাহ্নূর রহমান।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply