নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভাগীয় শহর বরিশালে ক্লিনিক ডায়াগণষ্টিক সেন্টারের রমরমা বাণিজ্যের কারণে অনেকেই এ ব্যবসার প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। অথচ নূন্যতম যোগ্যতা না থাকলেও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ব্যবসায় জড়িয়ে রাতারাতি অনেকেই কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছেন। এমনকি সরকারি হাসপাতালের কতিপয় কর্মচারীও এ খাতায় নাম লিখিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। ফলে বর্তমানে তারা তাদের (হাসপাতালের কর্মচারী) পরিচয় দিতেও লজ্জা বোধ করেন। বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সচেতন নগরবাসী ওই সকল যোগ্যতাহীন লোকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। অবশ্য রক্তচক্ষুর ভয়ে বরিশাল সদর (জেনারেল) হাসপাতালের টেকনিশিয়ান মোঃ জলিলুর রহমান জলিলের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে মিডিয়ার প্রেস বক্সে ভুক্তভোগী মহলটি একটি অভিযোগ ফেলে রেখেছেন।
যে কিনা একজন টেকনিশিয়ান হয়েও পদ্মা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিকানায় জড়িত থেকে নিজেকে প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিতে কুন্ঠাবোধ করেন না। তার দাবী তাকে যেন টেকনিশিয়ান সম্বোধন না করা হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি ৬৫ হাজার টাকা বেতন পাই। আমাকে টেকনিশিয়ান বলবেন না”। এদিকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, তৃতীয় শ্রেনীর একটি পদে রয়েছেন জলিল। অনুসন্ধানে জানা যায়, বরিশাল সদর (জেনারেল) হাসপাতালের টেকনিশিয়ান পদে কর্মরত আছেন মোঃ জলিলুর রহমান ওরফে জলিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সদর হাসপাতালের উল্টোদিকে পদ্মা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের অংশীদার তিনি।
এ সুবাদে প্রায়শঃই হাসপাতালের যন্ত্রপাতি বিকল দেখিয়ে তা তার নিজের অংশীদারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ব্যবসায় জড়িয়ে অল্প দিনের ব্যবধানে নগরীর মল্লিক রোডে একটি বহুতল ভবনের ২য় ৩য় ও ৪র্থ তলার ফ্লাটের মালিক বনে যান জলিল। হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও জলিল ভাইয়ের ভয়ে তটস্থ থাকেন। কেউ তার অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে শারীরিক লাঞ্চণার শিকার হতে হয়। অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ জলিলকে প্রকারান্তরে সাহায্য করে থাকেন।
তার সহকর্মী যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘ বছর চাকরি করলেও নগরীতে বাড়ি করতে পারেনি। তাদের প্রশ্ন একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী হয়ে জলিল কিভাবে এত বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছে। তাদের দাবী বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের টেকনিশিয়ান জলিলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি এ প্রতিবেদককে প্রশ্ন করেন, “জানেন আমার বেতন কত? প্রতি মাসে আমি ৬৫ হাজার টাকা বেতন পাই। আমাকে টেকনিশিয়ান বলবেন না।” এ সময় তিনি আরো বলেন, বরিশালের সকল সাংবাদিকদের কাছে আমার (জলিলের) সম্পর্কে জানেন। তারা ভাল জানেন আমি কে?
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply