বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:০১

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

অমর একুশে গ্রন্থমেলা

dynamic-sidebar

আজ শুরু হইতেছে বাংলা একাডেমির মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এইবার মেলায় স্টল সংখ্যা ৮ শতাধিক, তন্মধ্যে বইয়ের স্টল ৬৭০, লিটল ম্যাগ ১৫০, আর সেইসঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানেরও বেশকিছু স্টল থাকিবে। বাংলা একাডেমির নিজস্ব স্টলেও থাকিবে নূতন ও পুরাতন প্রকাশনাগুলি। মেলার মূল মঞ্চে প্রতিদিনই থাকিবে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট লেখক, সাহিত্যিক, গবেষক, চিন্তাবিদ ও কবিগণ অংশগ্রহণ করিবেন। এই মেলাকে উপলক্ষ করিয়াই প্রকাশিত হইবে কয়েক সহস্র নূতন গ্রন্থ। নূতন প্রকাশনার গন্ধ মাখিয়া আর পাতা উল্টাইয়া হাজার হাজার শিশু, তরুণ ও বৃদ্ধ আবারও একুশের চেতনায় জারিত হইবে, ভাবিবে তাহাদের আত্মপরিচয়ের কথা, আত্মানুসন্ধানের সুদীর্ঘ কঠোর সংগ্রামের কথা, আর স্বকীয় শিল্পভাবনার নূতন অভিযাত্রার কথা।

একুশে বইমেলার ইতিহাস স্বাধীন বাংলাদেশের মতোই প্রাচীন। যতদূর জানা যায়, ১৯৭২ সালেই বাংলা একাডেমি চত্বরে ব্যক্তি উদ্যোগে ৩২ খানা বই নিয়া অতিক্ষুদ্র এক মেলা বসিয়াছিল। ১৯৭৬ সালে কয়েকটি প্রকাশনী সংস্থাসহ বাংলা একাডেমিও এই বইমেলার সহিত যুক্ত হইয়াছিল। আর ১৯৮৩ সালে বাংলা একাডেমি এককভাবেই ‘অমর একুশে বইমেলা’ শুরু করিয়াছিল। ১৯৯০’র দশকেই এই বইমেলা হইয়া উঠিয়াছে আমাদের জাতীয় সৃজনপ্রক্রিয়ার হূদযন্ত্রে। দিনে দিনে ইহার কলেবর বাড়িয়াছে। ২০১৪ সালে গ্রন্থমেলাটি বাংলা একাডেমির মুখোমুখি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও সমপ্রসারিত হইয়াছে। এই মেলাকে কেন্দ্র করিয়াই প্রকাশিত হইয়া থাকে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ সৃজনশীল বই। এই মেলা পাঠক সৃষ্টি করে এবং পাঠক ধরিয়াও রাখে। ডিজিটাল এই যুগেও বইমেলার আকর্ষণে পাঠকেরা ছুটিয়া আসেন, নূতন বই ছুঁইয়া দেখেন, খরিদ করেন, নূতন বইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হন। শিশুদেরকেও বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করিতে এই মেলার বড় ভূমিকা আছে। মেলায় চালু করা হইয়াছে শিশুপ্রহর, শিশুদের বইয়ের জন্য আলাদা চত্বর।

বাংলাদেশে হাজারো মেলার মাঝে একুশে বইমেলার গুরুত্ব সর্বাধিক। ইহা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উত্কর্ষে অনেক বড় ভূমিকা রাখিয়া আসিতেছে। দীর্ঘকাল ধরিয়াই আমাদের সাহিত্যিক ও বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটিতেছে মূলত এই মেলাকে কেন্দ্র করিয়া। বাঙালির ভাষা, সাংস্কৃতিক বোধ ও ঐতিহ্য হইল এই বইমেলার ভিত্তি। ইহা আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের স্মারক। ভাষা আন্দোলন, বাংলা একাডেমি আর একুশের বইমেলা মূলত একই সূত্রে গাঁথা। নবগঠিত বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক জাগরণের প্রথম প্রকাশ ‘অমর একুশে বইমেলা’। তবে, একটু সমালোচনাও না করিলেও নয়। আমরা লক্ষ্য করিয়াছি, বইমেলা উপলক্ষ করিয়া প্রকাশনা জগতে এমন হুল্লোড় পড়িয়া যায় যে, যথাযথ সম্পাদনাহীন এবং মানহীন অযত্ন প্রকাশনায় বইমেলা সয়লাব হইয়া যায়। হরেদরে বিকোনো কল্পনারহিত, চিন্তারহিত ও বদ্ধমতের এইসকল বইপত্র বরং চিন্তা ও সৃজনশীলতা বিকাশের পথ রুদ্ধ করে। তাই, কেবল প্রকাশের উল্লাসে না মাতিয়া এই দিকগুলিতেও সকলকে আমরা নজর রাখিতে বলিব।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net