বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, ‘পলাতক নেতার হুকুম-আদেশ কর্মীরা পালন করে না। সাহস থাকলে দেশে আসুন।’
শনিবার রাজধানীর শ্যামলী মাঠে আদাবর থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া তারেক রহমান ২০০৮ সালে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে যান চিকিৎসার জন্য। সময়মত তারেক ফিরবেন-বিএনপির নেতারা বারবার এ কথা বললেও গত ১০ বছরেও তিনি দেশে ফেরেননি।
এর মধ্যেই বিদেশে অর্থপাচারের মামলায় তারেকের সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানার আদেশ হয়েছে হাইকোর্ট থেকে। আবার ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এছাড়াও দুর্নীতি, মানহানি, রাষ্ট্রদ্রোহের একাধিক মামলা তাছে তারেকের বিরুদ্ধে।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায়কে সামনে রেখে শনিবার রাজধানীতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেখানে যুক্তরাজ্য থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দেন তারেক।
তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদেশে থেকে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন। আপনার সৎ সাহস থাকে বাংলাদেশে এস মোকাবেলা করুন।’
‘তিনি বলছেন জুলুম উপেক্ষা করে আন্দোলন করতে হবে। বিএনপির কর্মীরা যদি পাল্টা প্রশ্ন করে, ‘আমরা জেল-জুলুমকে বরণ করে আন্দোলন করব, আর আপনি জেলের ভয়ে সৎ সাহস নেই বলে জেলকে ভয় পাচ্ছেন’, তাহলে তিনি কী জবাব দেবেন?’
কাদের বলেন, ‘আপনার সৎ সাহস থাকলে দেশে এসে মোকাবেলা করুন। …দেশে এসে আন্দোলন করুন জেল-জুলুমের বিরুদ্ধে। তখনই ভাবব আপনি একজন সাহসী নেতা।’
‘তার আগে আপনি পলাতক নেতা। পলাতকের ডাকে বাংলাদেশের মানুষ সাড়া দেবে না।’
দণ্ডিতদের দলের সদস্যপদে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা তুলে দেয়ারও সমালোচনা করেন কাদের। বলেন, ‘এই বিলুপ্ত করে দেওয়া প্রমাণ করে বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতিপরায়ন।’
পাঁচ তারকা হোটেল ‘লা মেরিডিয়ানে’ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভা আহ্বানেরও সমালোচনা করেন কাদের। বলেন, ‘এই দুর্নীতির টাকায় সভা করে দামি হোটেলে।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে না দাবি করে কাদের বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যেন গণগ্রেপ্তার করা না হয় সেই জন্য বলা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply