দুর্নীতি মামলার রায়কে সামনে রেখে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সঙ্গে আবার বৈঠকে বসলেন বেগম খালেদা জিয়া।
রবিবার রাত সোয়া নয়টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। এর আগে ২৭ জানুয়ারি স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেনে বিএনপি নেত্রী।
গত ২৫ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় রায়ের তারিখ হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এতিমখানার জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে করা এই মামলায় খালেদা জিয়ার শাস্তির আশঙ্কা করছে বিএনপি। আর এই আশঙ্কা থেকে দণ্ডিতদের দলের সদস্য হতে অযোগ্যতার বিষয়ে গঠনতন্ত্রে থাকা ধারা ধারা বাদ দেয়া হয়েছে।
বিএনপি অবশ্য অভিযোগটিকে মিথ্যা দাবি করে বলছে, সঠিক বিচার হলে খালেদা জিয়ার খালাস পাওয়ার কথা। কিন্তু সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে তাকে শাস্তি দেয়ার চেষ্টা করছে।
গত ২৭ জানুয়ারি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পরদিন ২০ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বসেন খালেদা জিয়া। আর রায়ের পাঁচ দিন আগে শনিবার দলের নির্বাহী কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি নেত্রী।
খালেদা জিয়াকে ‘অন্যায়ভাবে’ সাজা দেয়া হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। তবে দলের কৌশল চূড়ান্ত করে তা ঘোষণা করা হয়নি এখনও।
সবশেষ নির্বাহী কমিটির বৈঠকে বিএনপির জেলা পর্যায়ের নেতারা চেয়ারপারসনে সাজা হলে স্বেচ্ছা কারাবরণসহ নানা কর্মসূচির প্রস্তাব রাখেন। দাবি তোলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা যেন মাঠে সক্রিয় হন।
নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে উঠে আসা বিষয়বস্তু নিয়ে আজ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত আছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন,মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এই বৈঠকে উপস্থিত আছেন।
বি্এনপির স্থায়ী কমিটির বাকি তিন সদস্যের মধ্যে রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং নজরুল ইসলাম খান অসুস্থ এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কারাগারে থাকায় বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply