বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:৩৭

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
অভিনন্দন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি

অভিনন্দন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি

dynamic-sidebar

বাংলাদেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে মো. আবদুল হামিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনর্নির্বাচিত হইয়াছেন গতকাল বুধবার। ১৯৯১ সালে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হইবার পর আবদুল হামিদ হইলেন বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি, অন্যদিকে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি প্রথম মেয়াদ পূর্ণ করিয়া দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হইলেন। হাজী মো. তায়েব উদ্দিন এবং তমিজা খাতুনের সন্তান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১৯৪৪ সালের পহেলা জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। সমাজসেবক ও শিক্ষা-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক হিসাবে মো. আবদুল হামিদ মিঠামইন এলাকায় প্রায় ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৪টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ৩টি কলেজ প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন। তিনি ছিলেন ১৯৭০ সালে ময়মনসিংহ-১৮ সংসদ নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত তত্কালীন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। সপ্তম জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। পরে তিনি স্পিকার নির্বাচিত হন। অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চমত্কার রসবোধ-সম্পন্ন, সজ্জন, বিনয়ী এবং আরো অনেক নান্দনিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মো. আবদুল হামিদ দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হইবার জন্য তাঁহাকে অভিনন্দন।

রাষ্ট্রপতি পদটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রধান। সংসদীয় সরকারব্যবস্থার এই মডেলটি ব্রিটেন হইতে নেওয়া হইয়াছে। ব্রিটেনে সব হয় রানির নামে, কিন্তু ক্ষমতা প্রকৃতপক্ষে মন্ত্রিসভার বা সংসদের। বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতি দেশের প্রধানমন্ত্রীও নিয়োগ করেন। সংসদ নির্বাচনে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হইলে আবশ্যিকভাবে সেই দলের নেতাকেই প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করিতে হয় বলিয়া রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমতাটি আলঙ্কারিক মাত্র। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত এবং তিনি সংবিধান ও আইন বলে তাঁহার উপর অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব সম্পাদন করেন। বাংলাদেশের আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের সব শাখার আনুষ্ঠানিক প্রধান এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি। সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) ধারা অনুসারে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ব্যতীত রাষ্ট্রপতি সর্বদা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুসারে কার্যনির্বাহ করিয়া থাকেন। সংসদ ভাঙিয়া দেওয়া হইলে বা সংসদ অধিবেশন চালু না থাকিলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করিয়া আইন তৈরি করিতে পারেন এবং সেই সকল অধ্যাদেশ সংসদে গৃহীত আইনের মতোই কার্যকর বলিয়া গণ্য হয়।

দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হইলেও মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে ন্যায় ও ঐক্যের প্রতীক হিসাবে দেশের জনগণ বিবেচনা করিয়া থাকেন। তিনি রাষ্ট্রের অভিভাবক। কোনো কোনো সংবিধান বিশেষজ্ঞ মনে করেন, নীতি নৈতিকতা ও অভিজ্ঞতায় জারিত হইয়া মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করিতে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতেও ভূমিকা রাখিতে পারেন। আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির দীর্ঘায়ু ও সুস্থ-সুন্দর জীবন কামনা করি।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net