রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:২১

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
মুক্তিযোদ্ধের ৪৬ বছরেও তালিকাভুক্ত হননি আমির ভুইয়া

মুক্তিযোদ্ধের ৪৬ বছরেও তালিকাভুক্ত হননি আমির ভুইয়া

dynamic-sidebar

লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতাঃ


লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার টিওরী গ্রামের আমির হোসেন ভুইয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র,অস্ত্র জমা দেওয়ার টোকেন ও মুক্তিযোদ্ধার প্রশিক্ষন সনদ থাকার পরও দেশ স্বাধীনের ৪৬ বছরে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা হতে পারেনি। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের অবহেলা আমির ভুইয়া স্ত্রী ও ৩ সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
সুত্রে জানায়,উপজেলার টিওরী ফতেহ আলী ভুইয়া বাড়ির আমির উদ্দিনের পুত্র আমির হোসেন ভুইয়া ২৫ বছর বয়সে একই গ্রামের বকসে আলী খলিফা বাড়ির আবুল কালামের সাথে ভাতরে গিয়ে এক মাস প্রশিক্ষন শেষে দেশে ফিরে মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। তৎকালীন নোয়াখালী জেলার আমিশাপাড়া ও চন্দ্রগঞ্জ ক্যাম্পে অবস্থান করে ক্যাম্পের দায়িত্বরত মুক্তিযোদ্ধা নুরুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২ন সেক্টর কমান্ডার হায়দার ও আতাউর গনি ওসমানীর স্বাক্ষরিত স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র নিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারী-১৯৭২সালে অস্ত্র জমা দিয়ে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী নেওয়া। কিন্তু কয়েক মাস পরে তিনি চাকুরী ছেড়ে দেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সরকার একাধিকবার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরী করলেও অদৃশ্য কারনে আমির হোসেন ভুইয়ার নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ে। সরেজমিনে টিওরী গ্রামে গেলে বৃহস্পতিবার দুপুরে আমির হোসেন ভুইয়া বলেন,১৯৪৪সালের ১৫জানুয়ারী আমার জম্ম। মুক্তিযোদ্ধ চলাকালীন আমি ২৫বছরের যুবক হওয়ায় পাশের বাড়ির আবুল কালাম নানা প্রতিবদ্ধকতার মধ্য দিয়ে আমাদের কয়েকজনকে ভারতের লোহার বন ট্রেডিং ক্যাম্পে নিয়ে প্রশিক্ষন দেন।বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টে রক্ষিত ভারতে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার ০৪নং খন্ডে ২৯২৩২ ক্রমিকে আমার নাম রয়েছে। এই ছাড়াও ২নং সেক্টও কমান্ডার হায়দার ও আতাউর গনি ওসমানীর স্বাক্ষরিত স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র ও মুক্তিযোদ্ধের অস্ত্র জমা দেওয়ার টোকেন রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার পরও বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাতে আমার নাম অর্ন্তরভুক্ত হয়নি। অর্থের অভাবে আমি তিন সন্তানকে পড়া লেখা করাতে পারিনি। জরাজীর্ন বসতঘরে স্ত্রী,সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। সর্বশেষ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাই কমিটির কাছে আবেদন করেছি। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সালেহ আহম্মেদ বলেন,আমির হোসেন ভুইয়া একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। ১৮ফেব্রুয়ারী উপজেলা যাচাই-বাচাই কমিটি কাগজপত্র দেখে তালিকাভুক্ত করবে বলে আশা করছি।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net