নিজস্ব প্রতিবেদকঃবিয়ের ১২ দিনের মাথায় ১৯ বছর বয়সী স্ত্রীর নামে সাধারণ ডায়রী করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে ৫০ বছর বয়সী বৃদ্ধ স্বামী। শেষে পুলিশী হস্তক্ষেপে ১ লক্ষ টাকা জরিমানার শর্তে মুচলেকার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ করে ছাড়তে হলো ভালেবেসে বিয়ে করা যুবতী স্ত্রীকে। ঘটনার শুরু ১৮ই মার্চ ২০১৮। পুলিশ সূত্রে জাাযায়, ঢাকা কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা মোঃ গোলাম মোস্তফা ওরফে জিএম লাভলু (৫০) দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছেন মেসার্স রাবেয়া শিপিং এর ডক ইয়ার্ডে। নাটক, সর্ট ফ্লিম, মিউজিক ভিডিওতে কাজ করার সুযোগ করে দেবার নাম করে সখ্যতা গড়ে ওঠে বরিশালের স্থানীয় কিছু তরণ তরুণীদের সাথে। তারই সূত্র ধরে যোগাযোগ হয় সরকারি বরিশাল কলেজের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী কলেজ এভিনিউ রোডস্থ স্বপ্ন বিলাস বাড়ির নিচ তলার ভাড়াটিয়া মোঃ শহিদুল ইসলামের মেয়ে সামিরা আফরিন উর্মির সাথে। উর্মির বান্ধবী দোলা ও নীলার মাধ্যমে ৬ই মার্চ পরিচয় হয় প্রেমিক যুগল গোলাম মোস্তফা ও উর্মির মধ্যে। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে উর্মি জানায়, ঐ দিনই আমাকে তার ভাল লাগে বলে জানায়, এবং প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি হলে সে আমাকে কুয়াকাটা ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে আমি বলি আগে বিয়ে করবো তারপর যেখানে খুশি নিয়ে যেও। তারপর ৭ই মার্চ আমরা সিদ্ধান্ত নেই আপাতত পরিবারকে না জানিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে আমরা বিয়ে করবো। যেই কথা সেই কাজ। পরের দিন ৮ই মার্চ আমরা ২ লক্ষ টাকা দেনমোহরানা ধার্য করে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করি। এরপরে কুয়াকাটা যাওয়া না হলেও ১০ই মার্চ নগরীর সদর রোডস্থ হোটেল সেডোনায় আমরা মধুময় কিছু সময় কাটাই। কিন্তু এর দুইদিন পরেই আমি জানতে পারি ওনার পূর্বে বিয়ে আছে এবং সন্তান রয়েছে। এরপরে তার সাথে আমার কিছুটা ঝগড়া হয়। পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে গোলাম মোস্তফা ওরফে জিএম লাভলু (৫০) তার বক্তব্যে জানায়। আমাকে বিয়ে করা এবং শারীরিক সম্পর্কের পরপরই আমি তাকে বাসায় জানানোর জন্য বলি কিন্তু সে সেক্ষেত্রে অপরাগতা প্রকাশ করে এবং তার বেশ কয়েকজন বন্ধুর মাধ্যমে আমাকে প্রাননাশের হুমকি প্রদান করায় আমি গত ১৮ই মার্চ সন্ধ্যায় কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়রী করতে আসি। সাধারণ ডায়রী করার জন্য ডিউটি অফিসারের নিকট দরখাস্ত জমা দিলে তিনি আমার স্ত্রী উর্মির কাছে ফোন দিয়ে সত্যতা যাচাই করে এবং দরখাস্তে স্বাক্ষর করে সন্দেহাতীত হিসাবে অফিসার ইনচার্জ মোঃ আওলাদ হোসেনের কাছে প্রেরণ করে। তিনি একজন এসআইর মাধ্যমে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রাতেই উর্মির বাসায় গিয়ে তাকে নিয়ে আসার জন্য বলে। এ ব্যাপারে ১৯ শে মার্চ বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আওলাদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি খবর বরিশালকে জানায় গোলাম মোস্তফা এর আগেও কয়েকটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক করার চেষ্টা করেছে নানাভাবে প্রেমে ফাসানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু সফল হতে পারেনি। আর তাছাড়া এই বৃদ্ধের সাথে অল্প বয়সী এই যুবতীর আকর্ষনটা মাত্র ১ দিনের কিভাবে এতটা জোরালো হয়েছে সেটাই বোঝা বড় মুশকিল। সমাধান কিছু হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মেয়ের পরিবারের সাথে কথা বলেছি, যেহেতু, মেয়েও এই বৃদ্ধ লোকের সাথে সংসার করতে রাজি নয়। অতএব, কোর্টের মাধ্যমে এদের বিবাহ করার শর্তে থানায় মুচলে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply