নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিক্সা নিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি), ওসি ও সেকেন্ড অফিসার সহ ৬ পুলিশ সদস্য এবং বেশ কয়েকজন রিকশা শ্রমিক আহত হয়েছে।
তাছাড়া এই ঘটনায় পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানের অপরাধে বাসদ বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমন, সদস্য সচিব ও আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী ডা: মনীষা চক্রবর্তীসহ ৬জনকে আটক করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে ফজলুল হক এভিনিউ সড়কে বসে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া আটককৃত অন্যান্যরা হলো- সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল জেলার অর্থ সম্পাদক নাসরিন আক্তার টুম্পা, জেলা শ্রমিক ফ্রন্টের অর্থ সম্পাদক মিঠুন চক্রবর্তী, সদস্য জাকির হোসেন ও নূর ইসলাম।
আহতরা হল, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডের থানা পুলিশের সহকারি কমিশনার শাহনাজ পারভীন, অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শাহ মো: আওলাদ হোসেন, সেকেন্ড অফিসার এসআই সত্য রঞ্জন খাসকেল, উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম, কনস্টেবল শারমিন, ইতি ও সুরমা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরিশাল নগরীতে ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা উচ্ছেদ বন্ধ করা ও অবিলম্বে লাইসেন্স দেয়ার দাবীতে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সদর রোডে মানববন্ধন করে ব্যাটারীচালিত রিকশা শ্রমিক-মালিক সংগ্রাম কমিটি।
এর সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ফ্রন্টের নেতাকর্মীরা। এরপরে থালা-বাসন নিয়ে “ভূখা মিছিল” বের করে রিকশা শ্রমিকরা। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখানে সিটি কর্পোরেশনে কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন ও স্মারকলিপি প্রদান করে তারা।
পরে তারা মিছিল সহকারে কাকলীর মোরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে তারা ফজলুল হক এভিনিউ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে অবস্থান নেয়। এতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
তখন পুলিশ তাদের স্থান ত্যাগ করতে বলে। এনিয়ে পুলিশ ও রিকশা শ্রমিকদের মধ্যে প্রথমে বাক বিতন্ডা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ রিকশা শ্রমিকদের উপর চড়াউ হলে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষে ৬ পুলিশ সদস্যসহ আন্দোলনকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হন। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৬ জনকে আটক করে এবং কিছু প্লাকার্ড ও নিশান জব্দ করেন।
বরিশাল সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি সন্তু মিত্র বলেন, গরীব রিকশা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে নগরীতে শান্তিপূর্ন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। তবে পুলিশ বিনা উসকানিতে এই শান্তিপূর্ন কর্মসূচীতে বাঁধা সৃষ্টি করে আমাদের নেতাকর্মী ও রিকশা শ্রমিকদের উপর লাঠিচার্জ করেছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শাহানাজ পারভীন জানান, প্রথমে বিক্ষোভকারীর সদররোড থেকে মিছিল নিয়ে সিটি কর্পোরেশন ভবনের সামনে যায়।
সেখানে সড়ক আটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করলে পুলিশর উপস্থিতিতে কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে কথা বলেন। এরপর তারা নগর ভবনের সামনে থেকে সরে যায়। কিন্তু আন্দোলনকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাকলীর মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় জেলা ও দায়েরা জজ আদালতের সামনে গিয়ে হঠাৎ করেই সড়ক অবরোধ করে।
তিনি বলেন, পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা তাদের সাথে কথা বলতে গেলে উপ-পুলিশ কমিশনারের র্যাংক ব্যাচ নিয়ে টানাটানি ও নারীসহ পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে। শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়, এসময় কয়েকজনকে আটক করা হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিন) আব্দুর রউফ খান বলেন, বিক্ষোভকারীরা জেলা ও দায়েরা জজ আদালতের সামনের সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে নিতে উদ্যত হয়। সেসময় হঠাৎ করেই বিক্ষোভকারীরা পুলিশ সদস্যদের কামরিয়ে খামচিয়েসহ নানানভাবে আহত করতে শুরু করে।
যে হামলায় কোতোয়ালি মডেল থানার এসি শাহানাজ পারভীন, ওসি শাহ মোঃ আওলাদ হোসেনসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়। যাদের প্রাথমিক চিকিৎসা পুলিশ হাসপাতাল থেকে দেয়া হচ্ছে। পাঁচ জনকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে জেলা বাসদের সদস্যসচিব ডাঃ মনিষা চক্রবর্তীসহ ৬ জনকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী ব্যাটারি চালিত রিক্সার লাইসেন্সের দাবীতে কিছু লোক দীর্ঘদিন ধরে সংঘবন্ধ করে আসছে। অনুমতি ছাড়াই রাস্তাঘাটের বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে। গত রাত ১২ টার দিকে তিনি আজকের (বৃহস্পতিবার) তাদের কর্মসূচীর বিষয়ে একটি অবহিতকরণ পত্র দেন। কিন্তু কোন অনুমতি নেয়নি, তারপরও সকাল থেকে পুলিশ তাদের সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে ক
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply