পাঁচজুনিয়া ধানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গরুর হাট বসানোয় সাত শ’ শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার পরিবেশ বিঘেœর পাশাপাশি মাঠটি নোংড়া হয়ে থাকছে। গবাদিপশুর মলমুত্রে একাকার হয়ে যায়। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের নোমরহাট বাজার সংলগ্ন এই গবাদিপশুর হাট। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন রবিবার এই হাটটি বসে। এই দিন শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাশ করতে পারে না। দুর্গন্ধে দুষিত থাকে পরিবেশ। যদিওবা ময়লা-আবর্জনা অনেকটা পরিষ্কার করা হয়। তারপরও সপ্তাহের অন্যান্য দিন দুর্গন্ধ পোহাতে হয় শিক্ষার্থীকে। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রীমা আক্তার ও জাকারিয়া জানায়, আট-দশ বছর পর্যন্ত স্কুলের মাঠটিতে গরুর হাট বসানোয় তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। খেলাধুলার পরিবেশ নেই। দুর্গন্ধে ক্লাশ করা যায় না। প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সালাম জানান, আট-দশ বছর এই দুর্ভোগ তাদের। ক্লাশ ওয়ান থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অন্তত সাত শ’ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে বলে জানান। হাঁটের দিন রবিবারে বাধ্য হয়ে সকাল আট টায় ক্লাশ শুরু করেন এবং দুপুর ১২ টায় ছুটি দিয়ে দেন। এ ছাড়া অন্যান্য দিনেও গোবরের দুর্গন্ধে টেকা যায় না। কয়েকদফা উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন হাটটি স্থানান্তরের। কিন্তু কাজ হয়নি। তবে সম্প্রতি গরুর হাটটি বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানান্তরের আশ্বাস দিয়েছেন বলেও প্রধান শিক্ষক জানালেন। ধানখালীর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার জানান, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যাটি দুর করতে গরুর হাঁটটি সরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে প্রায় দশ বছরের এই সমস্যা আদৌ লাঘব হবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে সকল শিক্ষার্থী। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বয়োবৃদ্ধ আব্দুল ওহাব মুন্সী জানান, আমরা কয়েকবার এই হাটটি নমরহাট বাজারের পশ্চিমপাশে সরানোর জন্য বলেছি। কিন্তু সরানো হয়নি। হাটটির কারণে ছাত্র-ছাত্রীর ভোগান্তিরও শেষ নাই। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তানভীর রহমান জানান, গরুর হাটটি শীঘ্রই স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply