রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:১২

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
পিরোজপুরে বিদ্যালয় ভবন ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক

পিরোজপুরে বিদ্যালয় ভবন ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক

dynamic-sidebar

জরাজীর্ণ ছোট একটি টিনশেড ঘর। দেয়ালে বড় বড় ফাটল। নেই পলেস্তারা। বৃষ্টির পানি মাটিতে পড়ার আগেই ঢুকে পড়ে শ্রেণিকক্ষে। পিলার ভেঙে রড বেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে চলছে সদর উপজেলার পাঁচপাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান। শিক্ষকদের দাবি, বিদ্যালয়ের দুরাবস্থার কথা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোপালগঞ্জ-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের পাঁচপাড়া বাজারে অবস্থিত ১১নং পাঁচপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর সরকারিভাবে ছয় লাখ টাকা ব্যয়ে ১৯৮৭ সালে নির্মাণ করা হয় টিন শেডের বিদ্যালয়টি। এর মধ্যেই দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চলে আসছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

সম্প্রতি টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতি সেতু নির্মাণের পর গোপালগঞ্জ-পিরোজপুর সড়কটি সম্প্রসারণ করে আঞ্চলিক মহাসড়ক করা হয়। বিদ্যালয়টি সড়কের পাশে থাকায় সড়ক সম্প্রসারণের কারণে বিদ্যালয়টির একাংশও রয়েছে সড়কের মধ্যে। ৩০ বছর আগে নির্মিত ঘরটি ২০০৮ সালে একবার মাত্র মেরামত করা হয়েছিল। ফলে ঘরটি এখন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

এছাড়া সম্প্রতি মহাসড়কের পাশে পিরোজপুর জেলা পরিষদের সদস্য কামরুজ্জামানের নির্মিত মুরগির খামারের দুর্গন্ধে বিদ্যালয়ে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার মলমী বলেন, শ্রেণিকক্ষে সবসময় আতঙ্কে থাকি। বারবার দেয়ালের দিকে চেয়ে থাকি। এখনই বুঝি ভেঙে পড়ল। আবার মাঠের দুরাবস্থার কারণে অ্যাসেম্বলিও ঠিকমতো করাতে পারি না। স্কুল ঘরটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ছেলে-মেয়েরা ভয়ে স্কুলে আসতে চায় না।

শিক্ষকরা জানান, বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ মোট ৪ জন শিক্ষক ১২৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করছেন। বিদ্যালয় ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার কারণেই আগের থেকে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে গেছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুর রহমান শেখ জানান, ঘরটি অনেক আগেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রথম পরিদর্শনের পরই ঘরটি পরিত্যাক্ত বলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছি।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net