বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:৪১
শিরোনাম :
বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:৪১
আঞ্চলিকতার দ্বন্ধের জেরে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) শুক্রবার ভোররাতে বরিশাল বনাম পটুয়াখালী অঞ্চলের ছাত্রদের দু`গ্র“পের সহিংষতায় অন্তত: ১৫জন আহত হয়েছে। সহিংষতাকালে শেরে-ই-বাংলা হলের পটুয়াখালী জোনের ছাত্রদের অন্তত: ৩০টি কক্ষের দরজা-জানালা এবং আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। ভাংচুরকালে ওইসব কক্ষ থেকে প্রায় ১৫টি ল্যাপটপ নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনার দায় এক গ্র“প অন্য গ্র“পের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। শুক্রবার ভোররাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলে আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকা শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সংঘর্ষের পর থেকে দু`গ্র“পের ছাত্রদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসের সব ক’টি গেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বরিশাল-পটুয়াখালী আঞ্চলিকতার পূর্ব দ্বন্ধের জের এবং সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা আবাসিক হলের গনরুমে জুনিয়রদের ওঠাকে কেন্দ্র করে বরিশাল বনাম পটুয়াখালী অঞ্চলের ছাত্রদের মধ্যে ভেতরে ভেতরে দ্বন্ধ শুরু হয়। এর জের ধরে শুক্রবার ভোররাতে সাগর নামের এক শিক্ষার্থীর সাথে বরিশাল অঞ্চলের এক শিক্ষার্থীর তর্ক-বিতর্ক হয়। এ তর্কের ইস্যুতে বরিশাল অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা সেহরীর সময় পটুয়াখালী অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। পটুয়াখালী অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধে এগিয়ে এলে দু’পক্ষের তুমুল হট্টগোল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সহিংসতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের পঞ্চম সেমিষ্টারের ছাত্র আরাফাত ইসলাম সাগর, কৃষি অনুষদের শাকিল, রিয়াজ, হৃদয়, নোমান, রফিক, আতিক, প্রান্ত, বাপ্পি, সৈকতসহ উভয় পক্ষের অন্তত: ১৫জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখমী সাগর ও হৃদয় নামের দু’জনকে বরিশাল শেবাচিমে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া শেরেবাংলা আবাসিক ছাত্র হলের ডি-১ (১০১ থেকে ১০৩, ডি-২-২০১ থেকে ২০৬), তৃতীয় তলায় ৩০১-৩০৬ ও ৩১০ নং কক্ষসহ প্রায় ৩২টি কক্ষ ভাংচুর করা হয়েছে। ভাংচুরকৃত কক্ষ থেকে অন্তত: ১৫টি ল্যাপটপ লুট হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোঃ মেহেদী হাসান জানান, পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বরিশাল অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা হলে ও পটুয়াখালী অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা বাইরে অবস্থান নেয়ায় পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করাহয়েছে। তিনি আরও বলেন, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply