এইচ আর হীরা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাসপোর্টকে আধুনিকায়ন করার লক্ষে অনলাইনের আওতায় নিয়ে এসে উন্নীতকরন করেন। যার নাম দেয়া হয় ‘মেশিন রেডিবল পাসপোর্ট’। কিন্তু তাতেও সস্তি নেই বরিশাল অঞ্চলের সাধারন মানুষের,ভোগান্তিদের অভিযোগও রয়েছে অনেক। অভিযোগ রয়েছে কর্মকর্তারা নিজেরাই নাকি জড়িত দালালদের সহচর হিসেবে। বরিশাল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নানারকম অনিয়ম ও দুর্নীতি নতুন কিছু নয়। পাসপোর্ট অফিসের নানা অনিয়মের খবর স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের পর জেলা প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে।এদিকে কর্মকর্তারা বলছেন, জন ভোগান্তিসহ যাতে পাসপোর্ট অফিসে মধ্যস্বত্বভোগী (দালাল) চক্র সক্রিয় না থাকে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায, টাকা ছাড়া মেলেনা কোন পাসপোর্ট। যারা টাকা দিতে অনীহা প্রকাশ করে তাদের হয়রানির সীমা থাকেনা। অভিযোগ রয়েছে হজ্ব যাত্রীদের কাছেও টাকার বিনিময় পাসপোর্ট দেওয়া হয়। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন পাসপোর্টের জন্য কেউ যদি সরাসরি আবেদনপত্র জমা দেন তাহলে সেই আবেদনপত্রে যে কোন ভাবে ভুল ধরে পুনরায় আবেদন করতে বাধ্য করা হয় তাদের। তবে আবেদনকারীরা যদি নির্ধারিত কর্মচারীর কাছে ৫শ থেকে ৬শ’ টাকাসহ আবেদনপত্র জমা দেয় তাহলে আর কোন সমস্যা থাকেনা। এখানে প্রতিদিন গড়ে ১৫০টি আবেদনপত্র জমা ও পাসপোর্ট সরবরাহ হয়ে থাকে। প্রতি পাসপোর্ট ৬শ টাকা হিসাবে দৈনিক আদায় হয় ৯০ হাজার টাকা।এ অর্থ শীর্ষ কর্মকর্তারা বেশিরভাগ নেন আর কর্মচারীরা পান খুবই নগন্য। ভুক্তভোগীরা শুধুমাত্র অফিসের কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীদের হাতেই হয়রানির শিকার হয়না। পাসপোর্ট অফিসের দালালদের হাতেও তারা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হয়। এসকল দালালদের গোটা বরিশাল নগরীতে রয়েছে একটি সিন্ডিকেট।যাদের মধ্যে অন্যতম শফিক,লিটন, চুন্নু, নাছির, মামুন, হুমায়ুন ওরফে টাক হুমায়ুন, মনির, বাইজিদ,সুমন,মিলন,নান্নু সহ একাধিক দালাল। তারা জেলা ও উপজেলা থেকে আসা আবেদনকারীদের ভুল বুঝিয়ে জিম্মি করে এক একটি পাসপোর্ট দেওয়ার নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা।সূত্রমতে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২০ দিনের মধ্যে একটি ডিজিটাল পাসপোর্ট বানাতে জনপ্রতি খরচ হয় ৩ হাজার ৪৫০ টাকা ও অতি জরুরী ১২ দিনের মধ্যে ৬ হাজার ৯শত টাকা খরচ হয়। কিন্তু আবেদনকারীরা দ্বিগুন টাকা দিয়েও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন পাসপোর্ট পায়না।অনেক সময় আবার আবেদনকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকে কোন পাসপোর্ট না দিয়েও টাকা আত্মসাত করে দালালরা। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় আবেদনকারী ও দালালদের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষও হয়েছে। এছাড়া আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী দালালদের আটক করলেও আইনের ফাঁক ফোকড় গলে জামিনে মুক্ত হয়ে চালিয়ে যাচ্ছে প্রতারণা।সদ্য যোগদানকারী বরিশাল বিভাগীয় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ পরিচালক মো: কামাল হোসেন বলেন, এ অফিসে কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছেন মোট ২০ জন, আনসার সদস্য ৪ জন এবং পুলিশ সদস্য ৪ জন।দালালমুক্ত রাখবেন পাসপোর্ট অফিস উল্লেখ্য করে তিনি বলেন,শত গ্যাহকের মাঝে দুই এক জন সক্রিয় দালাল চিনে উঠতে খুবই কষ্টকর। তবে অফিসের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন তিনি।প্রিয় পাঠক পাসপোর্ট অফিসের অন্তরালের কাহীনি আগামিতে থাকছে বিশেষ প্রতিবেদন………….
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply