মহামান্য সুপ্রীম কোট, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের নির্দেশ থাকা সত্বেও বেতন-ভাতা প্রদানে পরিচালকের বিরুদ্ধে গরিমশি করার অভিযোগ এনে রবিবার সকাল থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচী শুরু করেছেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা।
সকাল আটটা থেকে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনী কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচী শুরু করা হয়। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ২১২ কর্মচারীর এ কর্মসূচীর সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে আমরণ অনশন করছেন হাসপাতালের পুরাতন কর্মচারী ও বাংলাদেশ সরকারী চতুর্থ কর্মচারী সমিতির জেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা। এদিকে কর্মচারীদের কর্মবিরতী ও আমরণ অনাশনের ফলে সকাল থেকেই জরুরী রোগী ব্যথিত সাধারণ রোগীদের সেবা ব্যহৃত হচ্ছে। পাশাপাশি আন্দোলনরত পরিছন্ন কর্মীরা কাজ না করায় হাসপাতালের সর্বত্র দুগন্ধ ছড়িয়ে পরেছে। চিকিৎসক ও নার্সরা পরেছেন চরম বিপাকে।
কর্মবিরতী ও অনাশন কর্মসূচী চলাকালীন সময় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর শেবাচিম হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর বিভিন্ন পদে ২১৫ জন কর্মচারী যোগদান করেন। ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্মচারীদের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ প্রদান করলে কর্মচারীরা উচ্চাদালতের রীট মামলা দাখিল করে। ওই বছরের ২২ আগস্ট উচ্চাদালত কর্মচারীদের পক্ষে রায় প্রদান করলে ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার সুপ্রীম কোর্টে আপীল করে এবং আদালত আপীলটি খারিজ করে দেয়। চলতি বছেরর ৬ ফেব্রুয়ারী ওই রায়টি বাস্তবায়নের জন্য পরিচালককে নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধিদপ্তরের ডিজি। আদেশটি পেয়ে পরিচালক ২৪ ফেব্রুয়ারী কর্মচারীদের বিভিন্ন দপ্তরে কার্যাদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে পরিচালককে গত ৪ এপ্রিল যোগদানকৃত কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি। এমনকি মামলা চলাকালীন সময়ের ৩০ মাস কর্মচারীদের স্থগিত সময় কর্মকাল হিসেবে গন্য করে উক্ত সময়ের কর্মচারীরা বেতন ভাতা পাবেন বলে দাবী করে জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার নিকট নিদের্শনা (জিও) প্রেরণ করেছেন পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন।
ওই নির্দেশনার আলোকে জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা প্রত্যেক কর্মচারির বহি ফিকসেন সম্পন্ন করেছেন। কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের সকল প্রক্রিয়া শেষ হলেও রহস্যজনক কারনে পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন বেতন-ভাতা প্রদান করছেন না। এদিকে গত চার মাস পূর্ব থেকে কাজে যোগদানের পর বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় ২১২ কর্মচারী পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
এ ব্যপারে পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী থেকে কর্মচারীরা হাসপাতালের বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করে আসছেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাদের বেতন ভাতা প্রদান করা হয়নি। সর্বশেষ কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য মতামত চেয়ে ফের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠির জবাব পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply